সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার চারদিনের মাথায় ‘এখন’ টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টার মাসুমা আক্তার মারা গেছেন।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শুক্রবার কুমিল্লায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মাসুমা। পরে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চার দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
মাসুমা আক্তারের (৩০) বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরের নারায়ণপুর গ্রামে। তার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়।
মাসুমা রাজশাহী নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। আর সাংবাদিকতা শুরু করেছেন ২০১৪ সাল থেকে।
রাজশাহীর স্থানীয় গণমাধ্যমে কাজের পর ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো অফিসে কাজ শুরু করেন।
এখন টিভির রাজশাহী অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার রাকিউল হাসান রাজিব বলেন, গত শুক্রবার বিকালে মাসুমা ছুটি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কুমিল্লায় শশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাস থেকে নেমে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকের সঙ্গে ভাড়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন তারা। এ সময় আরেকটি অটোরিকশার ধাক্কায় তারা দুইজনই রাস্তায় ছিটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি বলেন, “রাস্তার ওপর পড়ে গিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান মাসুমা। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।”
মাসুমা আক্তারের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজশাহীর অনেক সাংবাদিক তাদের ফেইসবুকে মাসুমার মৃত্যু নিয়ে পোস্ট দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন।
রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিটির (আরটিজেইউ) আহবায়ক বদরুল হাসান লিটন বলেন, “মাসুমা আক্তার সাংবাদিকতা পেশায় নিষ্ঠাবান ও প্রতিশ্রুতিশীল ছিলেন। তিনি ছিলেন পরিশ্রমী, সাহসী ও দায়িত্বশীল এক সংবাদকর্মী। তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”