২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার, ০১:০৪:১৮ অপরাহ্ন
রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, স্থানীয়দের পিটুনি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০২-২০২৫
রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, স্থানীয়দের পিটুনি

রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে সোহেল রানা নামে পুলিশের একজন এএসআইকে পেয়ে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।


জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লার এক নারীর ঘর থেকে স্থানীয়রা সোহেল রানা নামের ওই এএসআইকে আটক করেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে লাঠিপেটা করা হয়।


এ সময় মারধর করা হয় ওই নারীকেও। ইতিমধ্যে এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। সোহেল রানা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই নারী এবং এএসআইকে নানা জেরা করছে।


জেরার ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। ওই নারীকে এ সময় বলতে দেখা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর।’ আর এএসআই সোহেল রানাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি কলমা করে বিয়ে করেছি।’

জেরার মুখে এএসআই সোহেল জানান, তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া।


সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। ওই নারীকে তিনি ‘কলমা করে’ বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলেন—স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদই হয়নি। এ সময় ওই নারী বলতে থাকেন—স্বামীকে তিনি মুখে মুখে তালাক দিয়েছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ওই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল।


তাকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। অল্প বয়সী কয়েকজন লাঠি দিয়ে তাকে পেটায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ।


চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল মতিহার থানা এলাকায়। এএসআই সোহেল রানা মতিহার থানায় আছে। বিস্তারিত পরে বলব।’


এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক বলেন, ‘এএসআই সোহেল রানা থানা হেফাজতে আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কর্তৃপক্ষ।’


তিনি আরো জানান, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তার বাড়ি ডাসমারী মধ্যপাড়ায়। তিনি মাদক মামলায় বছর দেড়েক জেলে ছিলেন। এই সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। স্বামী জামিনে বের হলেও তিনি তার বাড়ি ফিরছিলেন না।


ওই নারীর স্বামী যখন জেলে ছিলেন, তখন এএসআই সোহেল রানা তিনটি অটোরিকশা কেনেন জানিয়ে ওসি আবদুল মালেক বলেন, ‘অটোরিকশাগুলো তিনি তার পূর্বপরিচিত ওই নারীর তত্ত্বাবধানে রাখেন। ওই নারীর ভাই এবং অন্য চালকেরা অটোরিকশাগুলো চালান। সোহেল রানা মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিয়ে আসতেন। মঙ্গলবার রাতেও তিনি ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তখন ওই নারীর স্বামী স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আসলেই কী ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’


শেয়ার করুন