কারাগারে অন্তরীণ থাকাবস্থায় গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামি হয়েছেন খাগড়াছড়ির পানছড়ির যুবদল নেতা জহির খান আরিফ।
জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ ও যুবদল নেতা জহির খান আরিফসহ পাঁচ বিএনপি ও যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে তিনি জেলেই রয়েছেন।
অথচ গত ৮ নভেম্বর বিএনপির অবরোধ চলাকালে মাটিরাঙায় সাপমারা এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জহির খান আরিফকে আসামি করা হয়েছে।
মাটিরাঙা থানার এসআই মাসুদ আলম পাটওয়ারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে প্রধান করে ৮৩ জনের নামে মাটিরাঙা থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় জহির খান আরিফকে ৫৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
আরিফের কারাগারের বন্দি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার মো. আক্তার হোসেন শেখ। তিনি শনিবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, গ্রেফতারের পর থেকে জহির খান আরিফ জেলেই আছেন।
কারাগারে থাকা ব্যক্তি কীভাবে মামলার আসামি হলেন— এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙা থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে তার নাম এসেছে। সে যদি জেলে থাকে তা হলে তার নাম অবশ্যই বাদ যাবে। হয়তো যারা তথ্য দিয়েছে, তারা ভুল তথ্য দিয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।