২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার, ০৮:৫৭:০৬ অপরাহ্ন
নিয়ন্ত্রণহীন সয়াবিন তেলের বাজার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০২-২০২৫
নিয়ন্ত্রণহীন সয়াবিন তেলের বাজার

কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ভোজ্য তেল সয়াবিনের বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম আরো বেড়েছে। পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে এভাবে দফায় দফায় সয়াবিনের দাম বাড়ায় শঙ্কিত ভোক্তারা।


বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে সয়াবিন তেলের দাম নিম্নমুখী। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। তা আগের অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি। তাহলে সয়াবিন তেলের দাম বাড়বে কেন? এদিকে সয়াবিনের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে চাল ও খেজুরের দামও বেড়েছে।



সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতিদিন নিত্যপণ্যের বাজারদর নিয়ে যে প্রতিবেদন তৈরি করে। সেই প্রতিবেদনেও পণ্যগুলোর দাম বাড়ার চিত্র তুলে ধরেছে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়। যা সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে পাঁচ টাকা বেশি। আর  দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে ৩৫০ থেকে ৩৫৫ টাকা ও এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে দুই টাকা বেড়ে ১৭৫ থেকে ১৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সপ্তাহের ব্যবধানে সাধারণ মানের খেজুর কেজিতে ২০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে তা ২৮০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের মধ্যে সরু ও মাঝারি মানের চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। যদিও বাস্তবে পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে আরো বেশি। 


বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে আগের বছর একই সময়ের তুলনায় সয়াবিন তেল ও খেজুরের আমদানি বেড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, উল্লিখিত সময়ে সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টনে ও খেজুরের আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়ে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব নেই বাজারে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সম্প্রতি রাজধানীর চারটি বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পেয়েছে, ডিলার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা খুচরা বাজারে সয়াবিনের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ভোক্তার পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন গত সপ্তাহে ভোজ্য তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, বর্তমানে সয়াবিন তেল নিয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। তেলের ক্ষেত্রে আমরা ছয়টি রিফাইন প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। গত তিন-চার মাস যাবত্ তেল নিয়ে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন তেলের উত্পাদন কত কোম্পানিগুলোকে তা দৈনিক ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।


শেয়ার করুন