২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার, ০৯:৩১:০৪ অপরাহ্ন
ঢাবিতে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানে বিপুল জনসমাগম
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০২-২০২৫
ঢাবিতে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানে বিপুল জনসমাগম

ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার দোসর রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে দশমদিন ধরে ছাত্র-জনতার গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে এই গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম হয়েছে।


এদিন জুলাই বিপ্লবে শহিদদের পরিবার, লেখক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ৫ দফার ব্যাপারে সংহতি জানান। 


দাবিগুলো হলো-গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, তাদের মিত্র ১৪ দল ও মহাজোট এবং এসব দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সকল ফ্যাসিবাদী দল ও সংগঠনের কার্যালয় ও সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে তা ফ্যাসিবাদী আমলে নির্যাতিত অসহায় মজলুমদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করতে হবে। ২০০৯-২০২৫ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট সরকারগুলোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সকল মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, সকল এমপি, সকল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যকে ডেজিগনেটেড ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ফ্যাসিবাদ ধারণ করে গড়ে ওঠা নব্য ফ্যাসিবাদী বা একই চরিত্রের যেকোনো দল ও সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।


গণঅবস্থানকারী ছাত্র-জনতার এসব দাবির প্রতি সংহতি জানান শহিদ নাইমা সুলতানার মা আইনুন নাহার ও শহিদ রানা তালুকদারের মা রুবী বেগম, লেখক গবেষক জাকারিয়া পলাশ, সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন ফয়সাল ও আজিবুল হক পার্থ, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক রোটারিয়ান রাবেয়া আক্তার, চিত্রশিল্পী সাইয়েদ কুতুব, রাজু আহমেদ, কায়েস আহমেদ, এম এইচ মাসুদ প্রমুখ।




গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। 


জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। 


১৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই বিপ্লবের শহিদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। 


গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।


এ গণঅবস্থান কর্মসূচির সংগঠকের দায়িত্বে রয়েছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, গালিব ইহসান, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের  আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানোয়ারা খাতুন, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়াত, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মাহাদি হাসান মাহি ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম। 


গণঅবস্থানের দশমদিন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের তালিকা উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।


শেয়ার করুন