সম্প্রতি বাবর আজমকে বাদ দিয়ে শাদাবের নেতৃত্বে দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। শুধু বাবর আজম নয়, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিকে ছাড়াই দল ঘোষণা করা হয়। এর পরই শুরু হয় তুমুল সমালোচনা।
তার পরও শাদাব খানের নেতৃত্বে তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামে। যেখানে বাবরের শূন্যতা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে পাকিস্তান। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল শাদাবের দল । নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। অন্যদিকে ২ ওভার ১ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় আফগানিস্তান।
শুক্রবার রাতে দুবাইয়ের শারজায় বোলিং সহায়ক উইকেটে আগে ব্যাট করতে নামে শাদাবের দল। লড়াই তো দূরে থাক, অল্প পুঁজি নিয়ে তারা আগেই হারের শঙ্কায় পড়ে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ধীরগতিতে ব্যাট করতে থাকে পাকিস্তান। ১৭ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। আফগানদের নির্দিষ্ট কোনো বোলারের ওপর নির্ভর করতে হয়নি। চার অভিষিক্ত ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তান সব বোলারের সামনেই নড়বড়ে ছিল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করা ইমাদ ওয়াসিম খেলেন ৩২ বল।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিপরীত এই ইনিংসে অবশ্য টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দায়ও রয়েছে। ব্যাটারদের এমন নিষ্প্রভ ইনিংসে নির্ধারিত ওভার শেষেও পাকিস্তান মাত্র ৯২ রান তোলে। আফগানদের হয়ে ফজল হক ফারুকি, মুজিব-উর-রহমান ও মোহাম্মদ নবী দুটি করে উইকেট নেন।
এদিকে ৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ অনেকটা জমিয়ে তুলেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। ৪৫ রানেই আফগানদের প্রথম ৪ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান।
এর পর মোহাম্মদ নবী ও নজিবউল্লাহ জাদরানের ৫৩ রানের জুটি আফগানিস্তানকে জয় এনে দেয়। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৮ রান করে ম্যাচসেরা হন নবী। নজিবউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১৭ রান করে।
এদিন আফগানদের ব্যাটিংও ছিল ধীরগতির। বোলিং পিচ, সহজ লক্ষ্যও এর কারণ হতে পারে। অবশ্য শুরুতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে তারা চাপেও পড়েছিল।
টি–টোয়েন্টি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন আফগানরা।