টাইগারদের স্তুতি গেয়ে মিচেল স্যান্টনার সতর্ক হয়েছেন। বড় মঞ্চে বাংলাদেশ কি করতে পারে, তা ভেবে সমীহও করছেন। তবে কিউই অধিনায়ক আশাবাদী ‘হারবেন না’। বাংলাদেশের শঙ্কা সেখানেই—টপ অর্ডারে রান নেই, মিডল ধুঁকছে, লোয়ার অর্ডারও ঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে পারছে না। মোদ্দাকথা কিউইদের বিপক্ষে লড়ার আগে নাজমুল হোসেন শান্তরা নিজেদের নিয়েই বেশি চিন্তিত।
পিন্ডিতে আজ বাংলাদেশের বাঁচা মরার ম্যাচ। সমীকরণ এমন—হারলে বাদ, টিকলে টিকে থাকবে আশা। ট্রফির মিশন নিয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে বড় ধাক্কা খেয়েছে। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না। টাইগার কোচ ফিল সিমন্স তাই বাড়তি সতর্ক—রান করতে হবে এবং প্রতিপক্ষকে যা রান আসবে তার মাঝে আটকাতে হবে। অর্থাৎ লক্ষ্য বেঁধে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বিকাল তিনটায় শুরু টিকে থাকার লড়াই।
কঠিন সমীকরণের ম্যাচটিতে অবশ্য ফুরফুরে কিউইরা। টাইগারদের পেস ও মিডল অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও ব্ল্যাক ক্যাপসদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে তাদের টপ অর্ডার। বাংলাদেশের চিন্তা সেখানেই। অধিনায়ক শান্ত রান পাচ্ছেন না, সৌম্য সরকারও নেই ধারায়। তানজিদ তামিম, মুশফিকুর রহিমও আছেন খোলশে বন্দি। এমন অবস্থায় ৩০০ প্লাস রান করতে চান কোচ সিমন্স।
শিষ্যদের লক্ষ্যও বেঁধে দিয়েছেন কোচ, ‘বড় রানের মাঠ এটা। লাহোরে দেখলেন কত রান হয়েছে। ৩০০ প্লাস হবে আশা করছি। গত ৫ ম্যাচে আমরা কয়েকবার ৩০০ পার করেছি। ফলে আমাদের সেই সামর্থ্য রয়েছে। গত ম্যাচে শুরুটা ভালো করিনি তাই ২০০ এর আটকে গিয়েছি। ভালো শুরু পেলে সম্ভব।’
স্যান্টনারও কয়েকবার বলেছিলেন, রান হবে। তারাও রান করতে চায়। কিউই অধিনায়কের পরিকল্পনা, ব্যাটিং পেলে তিনশ ছাড়িয়ে আনা সংগ্রহ, বোলিং হলে টাইগারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে ২০০ রানের মাঝেই আটকানো। বাংলাদেশ শেষ কয়েকম্যাচে এমন দেখেছেও। শেষ ৫ ম্যাচে বাংলাদেশ ৩ বার ৩০০ ছাড়ালেও জয় আসেনি কোনো ম্যাচেই।
কোচ সিমন্স আশাবাদী এবার ভিন্ন কিছু হবে, ‘সেসব ম্যাচে প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে ভালো ব্যাট করেছে। আমরা ৩০০ করেছি তারা আরও বেশি করেছে। ফলে আমাদের তাদের আটকেও রাখতে হবে। ভালো বল করিনি সেসব ম্যাচে। অতীতের কিছু নিয়ে খেলব না। মাঠে নেমে দেখি কী হয়।’
কিউইদের বিপক্ষে পরিসংখ্যান পক্ষে কথা না বললেও বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। ২০১৭ সালে সুখস্মৃতি আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। সবশেষ মুখোমুখি দেখায়ও ব্ল্যাক ক্যাপসরা বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডেতে পরাস্ত হয়েছে। ২০১৭ সালের সেই দিন আরেকবার আসে কিনা, সেটিই দেখার।