গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ পরিবহনের চলন্ত বাসে নারী যাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের দেওয়া এ সংক্রান্ত এক ভিডিও ক্লিপে বাসটির এক নারী যাত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় এক নারী যাত্রী খোলামেলাভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলছেন, ‘বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ওই নারী যাত্রীর নাম লিপি আরা বর্মণ (২০)। তার পিতার নাম দ্বিজেন চন্দ্র বর্মণ ও স্বামীর নাম রাজকুমার। তার বাড়ি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার হেলেঞ্চা গ্রামে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শ্লীলতাহানি করা হয় দুই নারী যাত্রীর। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায়। বাসযাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে কেউ মামলা না করায় পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে পাঠালে জামিনে মুক্ত হন সবাই।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সাভার এলাকা থেকে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মানিকগঞ্জের মুহিত, শরিয়তপুরের সবুজ এবং ঢাকার শরীফ। তারা সবাই আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।