কৃষ্ণ সাগর বন্দর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানিতে কোনো বাধা নেই বলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে বন্দরে ইউক্রেনের একটি সামরিক স্থাপণা লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় বলেও দাবি করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
ওডেসা বন্দরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর চুক্তি অনুযায়ী শস্য রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে এ কথা জানায় মস্কো। এর মধ্যেই বন্দরে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিগগরিই কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। খবর আলজাজিরার।
বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানিতে গেল শুক্রবার ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ওই চুক্তি কার্যকর না হতেই শনিবার ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়লেও রোববার এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে মস্কো।
আফ্রিকা সফররত রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে কোনো বাধা নেই। শস্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করতে নয়, ওডেসা বন্দরে ইউক্রেনের একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইস্তানবুলে শস্য রপ্তানি নিয়ে যে চুক্তিতে আমরা সই করেছি, সেখানে আমরা এমন কোনো অঙ্গীকার করিনি যে, আমাদের অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকব। বন্দরে ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থান ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়েছে।
শনিবারের ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিগগিরই চুক্তি অনুযায়ী কৃষ্ণ সাগর বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানির বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সোমবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির মুখপাত্র।
তিনি বলেন, চুক্তি সইয়ের পর পরই ওডেসা বন্দরে রাশিয়ার এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আমরা বিশ্বাস করি চুক্তির প্রতি সব পক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গেই আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যেই কৃষ্ণ সাগর বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি শুরু করতে পারব।
তবে জাতিসংঘ আশা প্রকাশ করলেও, চুক্তি সইয়ের একদিন না যেতেই ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার আসল চেহারা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হামলার বিষয়ে রাশিয়ার কাছে জবাব চাইতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।