নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ন্যূনতম রাখাসহ সব প্রার্থী যেন সমানভাবে প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বর্তমানে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা আছে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন এটি সংশোধন করে নতুন আচরণবিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই বিধিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
দলগুলোর মতামত ছাড়াই আচরণবিধিমালার খসড়া চূড়ান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমরা পরবর্তী সময়ে সব স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে বসব। তখনকার অবস্থাই বলবে কী করতে হবে।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশ প্রস্তাবিত আচরণবিধিমালায় যুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, একটি চমৎকার আচরণবিধিমালা হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
খসড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় আচরণবিধিমালা নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড—সব প্রার্থী সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবে, সে ধরনের অ্যাটিটিউড (মনোভাব) নিয়ে আমরা আচরণবিধিমালা করতে চাচ্ছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের বিষয়টিও যাতে ‘নিয়ন্ত্রণের’ মধ্যে থাকে, সে বিষয়টিও প্রস্তাবিত খসড়ায় রাখা হয়েছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ কঠোরতা যেন নিশ্চিত করা যায়, সে জন্য এ-সংক্রান্ত শাস্তির বিধান খসড়ায় থাকছে।
আগামী ডিসেম্বরে ভোটের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত সংশোধন প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। সরকারের তরফ থেকে আইন সংশোধন হয়ে এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা না হলে বিদ্যমান সীমানায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে কমিশন।