 
                         
                    
                                            
                        
                             
                        
২০২৫ অর্থবছরে ডেটা সেন্টার নির্মাণে ৮ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছিল মাইক্রোসফট। তবে ঘোষণার পরপরই পরিকল্পনায় শ্লথতা দেখা যাচ্ছে।
ব্লুমবার্গকে এক সূত্র জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইলিনয়, নর্থ ডেকোটা ও উইসকনসিনে ডেটা সেন্টার তৈরির উদ্যোগগুলো ধীর হয়ে গেছে। কিছু ক্ষেত্রে নির্মাণ প্রকল্প থেকে সরে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা বাড়ান।
মাইক্রোসফটের প্রতিনিধি যদিও বলেছেন, নির্ধারিত বাজেটেই ২০২৫ অর্থবছরে কাজ চালিয়ে যাবে তারা, তবে বাস্তব চিত্র কিছুটা ভিন্ন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিবর্তনের পেছনে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও ভূমিকা রাখছে। মাইক্রোসফটের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসনের এআই নীতি নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন।
তার মতে, প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসনের এআই নীতির ভিত্তিতে এখন আরও উন্নয়ন সম্ভব। তবে নতুন করে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফেরার আভাস ও তার শুল্ক নীতি প্রযুক্তি জগতের জন্য শঙ্কার বার্তা।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট বলছে, ট্রাম্পের ক্রমাগত শুল্ক আরোপ বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে ব্যয়বহুল করে তুলছে, যা ওয়াল স্ট্রিটে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নেতৃত্ব দিতে চাওয়া মাইক্রোসফট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

