২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ০৪:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলা: শফিক রেহমানের খালাসে ‘আপত্তি নেই’ রাষ্ট্রপক্ষের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৪-২০২৫
জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলা: শফিক রেহমানের খালাসে ‘আপত্তি নেই’ রাষ্ট্রপক্ষের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে মামলাটিকে ‘হয়রানিমূলক’ উল্লেখ করে শফিক রেহমানের খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী। খালাসের আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষেরও কোনো আপত্তি নেই বলে আদালতে জানানো হয়েছে।


রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন। শুনানির সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।


শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, “ভিকটিম নিজে মামলা করেননি, পুলিশ অতিরিক্ত আগ্রহে মামলা করেছে। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই, ৯০ বছর বয়সী একজন মানুষকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ মামলায় বিচার প্রক্রিয়া ছিল একপাক্ষিক।”


রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (খলিল) বলেন, “এটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। শফিক রেহমান একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। তার খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি নেই।”


২০২৩ সালের আগস্টে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শফিক রেহমানসহ আরও চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান (যিনি পরে খালাস পান), জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ (সিজার) এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।


২০১৬ সালে গ্রেপ্তারের পর শফিক রেহমান পাঁচ মাস কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তির পর তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। দীর্ঘ ছয় বছর পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফিরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং আপিলের শর্তে তার সাজার কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।


শেয়ার করুন