০৭ মে ২০২৫, বুধবার, ০২:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন
আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: ঢামেকের ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা প্রস্তুত
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৫-২০২৫
আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: ঢামেকের ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা প্রস্তুত

ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুই চিকিৎসক সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সমন দেওয়ার পরও পরপর দুই দিন সাক্ষ্য দিতে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রস্তুত করা হয়েছে।



ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওই চিকিৎসকরা হচ্ছেন- ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মমতাজ আরা এবং ডা. দেবিকা।



মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এবং মামলাটির সরকারপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের ওই দুই চিকিৎসককে তলব করা হলেও তারা পরপর দুই দিন অনুপস্থিত রয়েছেন। মঙ্গলবার শুধু ওই দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল; কিন্তু তারা অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। বুধবার আবারও তাদের জন্য দিন ধার্য করে ওয়ারেন্ট প্রসেস করা হয়েছে। আশা করছি তারা এদিন সাক্ষ্যগ্রহণে উপস্থিত থাকবেন।



২০ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বিচারকার্য শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও অভিযুক্ত আসামি ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ এবং সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখকে আদালতে হাজির করা হয়।



গত ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আছিয়া। এর আগে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।



এর আগে ৬ মার্চ শিশুটির ধর্ষণের ঘটনার খবর প্রচার হলে মাগুরাসহ সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সড়ক অবরোধ, থানা ও আদালত ঘেরাও করে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অপরাধীর শাস্তি দাবি করেন সর্বস্তরের মানুষ। স্থানীয় আইনজীবীরাও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবির পাশাপাশি আসামিপক্ষকে কোনো আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।



তবে সরকারের পক্ষ থেকে ও মামলাটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আসাসিপক্ষে সোহেল আহমেদ নামে একজন আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়। একই সঙ্গে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত সরকার পক্ষের আইনজীবীকে সহায়তা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত স্পেশাল প্রসিকিউটর (অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা) অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


শেয়ার করুন