২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:৪৭:০৭ পূর্বাহ্ন
প্রক্সিতে ধরা পড়েও রাবির ‘এ’ ইউনিটে প্রথম, অবশেষে ফল বাতিল
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৮-২০২২
প্রক্সিতে ধরা পড়েও রাবির ‘এ’ ইউনিটে প্রথম, অবশেষে ফল বাতিল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে তানভীরের স্থলে পরীক্ষায় বসেছিলেন বায়োজিদ খান নামে এক প্রক্সিদাতা। পরে প্রক্সিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বায়োজিদ খানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ। কিন্তু মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে প্রকাশিত ফলে প্রথম হয়েছেন সেই প্রক্সি দেওয়া শিক্ষার্থীই। তবে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীর রেজাল্ট অনলাইন থেকে বাতিল করে দিয়েছে প্রশাসন।


ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, মো. তানভীর আহমেদ রাবির ‘এ’ ইউনিটে যার ভর্তি পরীক্ষার রোল ছিলো ৩৯৫৩৪। রাবির ভর্তি পরীক্ষায় গ্রুপ-২ শিফটে অংশ নিয়ে ৯২ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে ১ম হয়েছেন তিনি।


এদিকে রাবির আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরপরই আমরা প্রক্সি দিয়ে প্রথম হওয়া ওই শিক্ষার্থীর রেজাল্ট অনলাইন থেকে বাতিল করে দিয়েছি। এখন তার রোল দিয়ে আমাদের সাইটে সার্চ করলে ওই শিক্ষার্থীকে আর পাওয়া যাবে না। এটা আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল ছিলো।


বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ২৬ জুলাই প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় রোল ৩৯৫৩৪ এর বিপরীতে রাবির ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়োজিদ খান মূল পরীক্ষার্থী তানভির আহমেদের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন। পরে তাকে এক বছরের দণ্ডে দণ্ডিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ।


এ নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। অনেকেই এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামখেয়ালীপনা হিসেবেও উল্লেখ্য করছেন।


শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বহীনতার পরিচয় এটি। প্রক্সি দেওয়ার পর যাদেরকে আটক করে দণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের ফলাফল আসে কিভাবে?


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা সমন্বয়ক ও ডিনদের ডেকেছি। আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

শেয়ার করুন