রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পবা থানার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে“ওপেন হাউজ ডে”। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে থানা চত্বরে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন,“অপরাধ দমনে পুলিশের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সমাজই নিরাপদ হতে পারে না। মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, কিশোর অপরাধ ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজকে সচেতন হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া চলবে না।”
সভাপতির বক্তব্যে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন,“পুলিশ জনগণের সেবক। জনগণকে আস্থায় না নিলে অপরাধ দমন কঠিন। আমরা চাই মানুষ পুলিশকে ভয় নয়, আপনজন মনে করুক। অপরাধীদের বিরুদ্ধে তথ্য দিন, পুলিশ আপনাদের পাশে থাকবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) এসএম ফারুক হোসেন বলেন,“অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে। কিশোরদের সঠিক পথে রাখতে অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক বলেন,“অপরাধ দমন ও সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে পুলিশ ও জনগণের সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদের দায়িত্বও পালন করতে হবে। আইন নিজের হাতে না নেওয়ার শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।”
জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মকবুল হোসেন বলেন,“পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলাই একমাত্র পথ নিরাপদ সমাজ গড়ার। আমরা চাই স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার হোক এবং স্থানীয় জনগণ পুলিশের সঙ্গে মিলিতভাবে অপরাধ দমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুক।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা- মাদকবিরোধী কার্যক্রম জোরদার, কিশোর অপরাধ রোধ, সাইবার অপরাধে সচেতনতা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কুফল ও আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা তাদের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা অভিযোগ ও প্রস্তাব দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব প্রস্তাব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ পুলিশের সঙ্গে খোলামেলা মতবিনিময়ের সুযোগ পান। তারা জানান, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়।