দীর্ঘ
৫ মাস ১৬ দিন পর
রাজশাহীর পবা উপজেলার চরশ্যামপুর ও দিয়ারখিদিরপুর মৌজার
বালুমহাল ইজারাদারের কাছে বুঝিয়ে দিল প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে মেসার্স সাইফ ট্রেডার্সকে বালুমহালটি হস্তান্তর করেন।
সরকারি
নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেসার্স সাইফ ট্রেডার্স ১৪৩২ বঙ্গাব্দে ১৫ কোটি ১৫
লাখ ৭০ হাজার ৫০০
টাকায় বালুমহালটির ইজারা পেয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের রিট (নং ১৪৯৪/২৫
ও ৪৭৮৭/২৫) এর কারণে দীর্ঘদিন
ইজারার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। এদিকে পদ্মা নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালু উত্তোলন কার্যক্রমও বন্ধ ছিল।
স্থানীয়দের
অভিযোগ, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা—রজব, আনোয়ার, বেন্টু ও মুকুল পরিকল্পিতভাবে
রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালুমহালটি দখল করে রেখেছিলেন। এবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৈধ ইজারাদারের কাছে বালুমহাল হস্তান্তর হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানের
কর্ণধার শাহিনুর রহমান বলেন—“আমরা পুরো বছরের ইজারা মূল্য পরিশোধ করেছি। কিন্তু মামলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের
কারণে অর্ধেক সময় বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। এতে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছি। এজন্য সরকারের সহায়তা এবং সমাজের সহযোগিতা চাই।”
অন্য
অংশীদার রমজান আলী জানান—“আমরা মার্চে সিডিউল জমা দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হই। কিন্তু মামলার কারণে এতদিন বালুমহাল বুঝে পাইনি। অবশেষে প্রশাসন আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে।”
পবা
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান বলেন—“প্রতি বছরই সরকারিভাবে ইজারাদারকে বালুমহাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এবারও তাই করা হয়েছে। শর্ত মেনে তারা যাতে বালু উত্তোলন করে, তা প্রশাসনের পক্ষ
থেকে কঠোর নজরদারিতে থাকবে।”
হস্তান্তরের
সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি এবং জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট,
অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার
সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

