০৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
মিশরে আলোচনার আগেই গাজায় ইসরায়েলের হামলা, ২৪ জন নিহত
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২৫
মিশরে আলোচনার আগেই গাজায় ইসরায়েলের হামলা, ২৪ জন নিহত

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশরে আলোচনার আগমুহূর্তে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন আশ্রয়প্রার্থীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।


এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার ভিত্তিতে ইসরায়েল ও হামাস সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরের শার্ম আল-শেখে পরোক্ষ আলোচনায় বসছে। হামাস জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন খলিল আল-হাইয়া। আলোচনায় যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।


ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, রন ডার্মারের নেতৃত্বে তাদের আলোচক দলও সোমবার মিশরে পৌঁছাবে। নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন, এই সপ্তাহেই অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির চুক্তি ঘোষণা হতে পারে।


ট্রাম্প জানিয়েছেন, আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘প্রথম ধাপটি এই সপ্তাহেই সম্পন্ন হতে পারে। সবাইকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’


তবে তার আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, রোববার মধ্য গাজার আজ-জুয়াইদা ও গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় বোমা হামলা হয়েছে।


গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দুই বছরের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৮,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে এক হাজারের বেশি। এছাড়া ১,৬৭০ জন চিকিৎসাকর্মী, ২৫৪ জন সাংবাদিক এবং ১৪০ জন উদ্ধারকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।


গতকাল রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, পরিস্থিতি এখন ‘বন্দী মুক্তির সবচেয়ে কাছাকাছি’। তিনি ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।


ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল তাদের সেনা গাজা থেকে ফিরিয়ে নেবে। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই থাকবে।’


আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ও হামাসের আলোচনায় অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে হামলা বন্ধ ও বন্দী বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।


হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জত আল-রিশেক বলেন, ‘আরব দেশগুলোর এই সমর্থন যুদ্ধের অবসান এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা।’


হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আলোচনায় সহায়তার জন্য ট্রাম্প তার জামাতা জ্যারেড কুশনার ও মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফকে মিশরে পাঠিয়েছেন।


শেয়ার করুন