রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার বাজারে ত্রি-মোহনী রাস্তার মাঝে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর ও তার পাশ ঘিসে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের বড় আকারের হচ্ছে একটি মুর্যাল। যা ইতি মধ্যে কাজ শুরু করেছেন মুন্ডুমালা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী জেলা পরিষদ ও মুন্ডুমালা পৌরসভার যৌথ অর্থায়নের এ প্রকল্পটির কাজ শুরু করেছেন। চলতি বছরের আগেই শেষ হবে বলে জানা গেছে।
শোকের মাসে গ্রামের মত একটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নামে চত্ত্বর ও মুর্যাল হচ্ছে এমন খবরে খুশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ। তারা শুধু খুশি নয়,এমন উদ্যোগে পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের বিশেষ প্রশংসা ও করছেন।
পৌরসভা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান বলেন, শোকের মাস শুরু হতেই জায়গা নির্ধারণ করে বাজারের জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর এবং মোরালের কাজ শুরু করেছেন। যতদ্রত করা যাই সে ক্ষেত্রে দিনরাত কাজ চলছে।
তানোর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাজ্জাদ আলী মাস্টার বলেন,বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর ও মুর্যাল নতুন প্রজে¥র কাছে আরো বেশি পরিচিতি ও দীর্ঘয়িত হবে।
তিনি আরো বলেন,দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেখতে দেখতে প্রায় ৫১ বছর পেরিয়ে গেলো। মুন্ডুমালার মত একটি গ্রামের বাজারে রাস্তায় বঙ্গবন্ধু নামে গোল চত্ত্বর ও মুর্যাল হবে এটা কোনদিই ভাবিনি। আজ সত্যি খুব ভাল লাগছে। বিশেষ করে মৃত্যুর পূর্বে হলেও দেখে যেতে পারবো। গ্রামের অনেক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন তারা আজ বেচে থাকলে অনেক খুাশি হতেন।
মুন্ডুমালা পৌর এলাকার আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজিন আহম্মেদ বলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ উপজেলা অনেক চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র হয়েছেন। কিন্ত কেউ বঙ্গবন্ধুর স্বৃতি ফলক নিয়ে এমন উদ্যোগ নেননি। বর্তমান মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বঙ্গবন্ধু নামে চত্ত্বর ও মুর্যালের কাজ শুরু করাই আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধারা খুশি হয়েছি।
মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তাফা বলেন,মুন্ডুমালার মত একটি জায়গায় বঙ্গবন্ধু নামে চত্ত্বর হচ্ছে এমন উদ্যোগে পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,আমার পৌর এলাকার সকল ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা শুধু নয়,উপজেলার ৯০ ভাগ সাধারণ মানুষ ও আনন্দিত।
তিনি আরো বলেন, পৌর বাজারে রাস্তা সরু হওয়াই সব সময় যানজোট লেগেই থাকতো। এমন সব ভাল উদ্যোগে আমি পৌর মেয়র সাইদুর রহমানকে সকল কাজে সহযোগিতা করবো।
পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন,বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে আমি রাজনীনি করে আসছি। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল মুন্ডুমালায় বঙ্গবন্ধুর স্বৃতি নিয়ে কিছু একটি করবো। আজ মেয়র হয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু নামে বাজারের জিরো পয়েন্টে একটি চত্ত্বর ও পাশে মুর্যালের কাজ শুরু করতে পেরেছি। এতে আমাকে সর্বদিক দিয়ে সহযোগিতা করছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসন মহোদয় ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। সহযোগিতা করাই আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।
