০২ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ০৯:৪০:১৯ অপরাহ্ন
ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১১-২০২৫
ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তিনি একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ইস্যুতে ক্ষমা চেয়েছেন এবং অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডকে সেটি প্রচার না করতে বলেছেন।


দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর শনিবার (১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কার্নি এ কথা জানান।


কার্নি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত এক নৈশভোজে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল।


‘আমি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি,’ তিনি বলেন।


ট্রাম্পও শুক্রবার নিশ্চিত করেছিলেন যে কারনি ব্যক্তিগতভাবে তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

কার্নি আরো জানান, বিজ্ঞাপনটি প্রচারের আগে তিনি ডগ ফোর্ডের সঙ্গে তা পর্যালোচনা করেছিলেন, কিন্তু তিনি নিজে সেটি সম্প্রচারের বিরোধিতা করেন। 


‘আমি ফোর্ডকে বলেছিলাম, আমি চাই না বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হোক,’ বলেন কার্নি।


বিতর্কিত ওই বিজ্ঞাপনটি অন্টারিও প্রিমিয়ার ফোর্ডের উদ্যোগে তৈরি করা হয়।


সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের একটি বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে রেগান বলেছিলেন, ‘শুল্ক আরোপ বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করে এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে।’

বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন এবং ওয়াশিংটন কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করে।


দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ডিনারে তার সঙ্গে কার্নির ‘খুব সুন্দর’ আলাপ হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা আপাতত পুনরায় শুরু হবে না।


এদিকে, কার্নি জানান, তিনি শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যা তিনি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে উল্লেখ করেন।


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে একাধিক কানাডিয়ান নাগরিক আটক ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, এবং কানাডার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, চীন অন্তত দুটি ফেডারেল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। 


কার্নি জানান, শি চিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিদেশি হস্তক্ষেপসহ বেশ কয়েকটি ইস্যু তুলেছেন।


তিনি বলেন, এশিয়া সফরের উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কানাডার নির্ভরতা কমানো।


কার্নি বলেন, ‘এটা রাতারাতি সম্ভব নয়, কিন্তু আমরা খুব দ্রুত এগোচ্ছি।


শেয়ার করুন