রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকায় ক্রেন থেকে পড়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ভায়াডাক্টে চাপা পড়া প্রাইভাটকারটি কাওলা থেকে আশুলিয়া যাচ্ছিল। গাড়িটিতে নবদম্পতি ও ২ শিশুসহ ৭ জন ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বরের খালাতো ভাই রাকিব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ও পরিবারের অন্যদের নিয়ে আশুলিয়ার কনে বাড়িতে যাচ্ছিল সবাই। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল। হৃদয়, হৃদয়ের বাবা রুবেল, রিয়া ছাড়াও প্রাইভেটকারটিতে কনে রিয়ার একজন আত্মীয় ও ২ শিশু ছিল।
রাকিব হোসেন আরও জানান, গাড়িটি থেকে ২ জন জীবিত বের হতে পেরেছেন বলে শুনেছি। কিন্তু, কে কে বের হতে পেরেছেন তা এখনো জানতে পারিনি।
বিকেলে বিআরটির উন্নয়ন প্রকল্পের ভায়াডাক্টের অংশ পড়ে একটি প্রাইভাটকারের ৪ যাত্রী নিহত হন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুহসীন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় ২ শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। চাপা পড়া গাড়ি থেকে ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেন বেঁকে ভায়াডাক্টের অংশ পড়ে যায়। এতে গাড়িটি চাপা পড়ে।’
বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ক্রেন বিপর্যয়ের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে শুনেছি।’
তিনি দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ জানান, দুর্ঘটনার খবরে উত্তরা থেকে দুটি টিম দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার মাঝখানে এ ঘটনা ঘটায় খিলখেত থেকে দীর্ঘ যানজট তৈরি। এছাড়া, দুর্ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলেও তারা বারবার ভিড় করছেন। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর এক্সভেটর দিয়ে ভায়াডাক্ট সরাতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।