২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৩২:৫০ পূর্বাহ্ন
তানোরে আটক মোটরসাইকেল থানা থেকে গায়েব, এসপির কাছে অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২২
তানোরে আটক মোটরসাইকেল থানা থেকে গায়েব, এসপির কাছে অভিযোগ

রাজশাহীর তানোরে আটককৃত মোটরসাইকেল থানা থেকে গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের মালিক বেলাল হোসেন ওরফে বুলু গত ২২ আগস্ট রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে তিনি তানোর থানার ওসি এবং মোটরসাইকেল আটককারী এসআইয়ের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল গায়েবের অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার বুরুজ মহল্লার বাসিন্দা মৃত লোকমান হাফেজের ছেলে বেলাল হোসেন বুলু (৩৯) গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁর মোটরসাইকেল নিয়ে কাশিম বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথের মধ্যে জিওল-চাঁদপুর নামক মোড়ে অপর একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে ওই মোটরসাইকেলের চালক আহত হন। পরে বেলাল হোসেনই তাঁকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। এরই মধ্যে তানোর থানা পুলিশ বেলাল হোসেনের মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। বেলাল হোসেনের মোটরসাইকেলটির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর রাজশাহী-হ-১১-৬১২২।

বেলাল হোসেন জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পরে আহত ব্যক্তির সঙ্গে বেলাল হোসেন সমঝোতা করে নেন। এর পর তিনি সম্প্রতি তাঁর মোটরসাইকেলটি ছাড়াতে তানোর থানায় যান। কিন্তু থানার কোথায় মোটরসাইকেলটি তিনি দেখতে পাননি। এর পর বেলাল হোসেন তাঁর মোটরসাইকেলটি নেওয়ার জন্য ওসি কামরুজ্জামানের কাছে যান। ওসি তখন বেলাল হোসেনকে জানান, মোটরসাইকেলটি নিতে হলে যে এসআই আটক করেছিলেন তাঁকে বলতে হবে। ওই এসআই বলার পরেই মোটরসাইকেলটি ছাড়া হবে। এরপর বেলাল হোসেন বাধ্য হয়ে তৎকালীন এসআই মানিক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এসআই মানিক মোবাইলে বেলাল হোসেনকে জানান, ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়। পরে জিডি করে থানার বইয়ের জব্দ তালিকায় মোটর সাইকেলটি থানা হেফাজতে রাখা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর পর মোটর সাইকেলটি কি হয়েছে আমি জানি না।

এ ব্যাপারে তানোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এসআই মানিক এমন মোটরসাইকেল আটক ব্যাপারে আমাকে অবগত করেননি। তবে, থানাতেও ওই মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাচ্ছে না। যদি থানার বইয়ে মোটরসাইকেল জব্দ থাকে কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগের বিষয়ে জানা নাই। অভিযোগ হাতে পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।

শেয়ার করুন