বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২১৯ জন বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডিজিস এজেন্সি।
বুধবার রাতে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) মহামারিসংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবর সিএনএনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে মাঙ্কিপক্স সাধারণত দেখা যায় না, বিশেষ করে ইউরোপের সেসব দেশে অন্তত একজন করে সংক্রমণ শনাক্ত নিশ্চিত করা হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই যুবক এবং তাদের পুরুষদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্স খুব একটা দেখা যায় না। মে মাসের শুরুর দিকে দেশটিতে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর পরই ইউরোপের দেশ স্পেনের অবস্থান। দেশটিতে ৫১ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। আর পর্তুগালে ৩৭ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপের বাইরে কানাডায় ১৫ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৯ জনের দেহে ভাইরাসজনিত এ রোগটি শনাক্ত হয়েছে।
চলতি মে মাসের ২০ তারিখে ইউরোপে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্য সংরক্ষণ শুরু হয়। ওই দিন ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। ইইউ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত এই ব্লকে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ গুণ।
ইসিডিসি চলতি সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল, এটিতে সংক্রমণের ঝুঁকি ‘অত্যন্ত কম’। তবে সতর্ক করে দিয়েছিল যে যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী (বিপরীত বা সমলিঙ্গ-উভয়ে সঙ্গে যৌন সম্পর্ক) রয়েছে তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।