২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৮:১২:১৬ পূর্বাহ্ন
প্রতারণার মামলার বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা নিউ টাইমস গ্রুপের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৯-২০২২
প্রতারণার মামলার বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা নিউ টাইমস গ্রুপের

ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণার একটি মামলার বরাদ দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজশাহীর নিউ টাইমস গ্রুপের চেয়ারম্যান রনি রাজ হোসেন।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, প্রকাশিত সংবাদগুলোতে অতিরঞ্ছিত তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। যা মামলাতেও উল্লেখ নেই। কোম্পানীর সুনাম ক্ষুন্ন করা জন্য সংবাদে কিছু অসত্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি রনি রাজের।

বিবৃতিতে নিউ টাইমস গ্রুপের চেয়ারম্যান রনি রাজ হোসেনের দাবি, ‘ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং রেস্টুরেন্টে কর্মরতদের বেতন না দেয়া’র যে তথ্য সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। এছাড়াও ‘প্রতারণার টাকায় নিউ টাইমস গ্রুপের চেয়ারম্যান অল্প সময়ে কোটিপতি হয়েছেন’ এ তথ্যও হাস্যকর। এসব তথ্যের কোন দালিলিক প্রমান সংবাদে উপস্থাপন করা হয়নি।

রনি রাজ হোসেন জানান, মামলাকারি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পচামাড়িয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আক্তারুজ্জামান প্রিন্সকে সকল নিয়ম কানুন মেনে ২০২০ সালে ২ ফেব্রুায়ারি গ্রুপের স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে গত ২০২০ সালে ৮ আগস্ট প্রিন্স নিউ টাইমস গ্রুপের সিইও পদে যোগদান করেন। তাকে নিয়োগ দেয়ার পর বিকাশ ও নগদ টাকায় তার সকল বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যায়। এর পর তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি নিতে বলা হয়। সে নিজ ইচ্ছায় ২০২১ সালে ২ সেপ্টেম্বর গ্রুপের মেইলে চেয়ারম্যান বরাবর চাকরি থেকে অব্যহতি পত্র পাঠান। অব্যহতি পত্রে উল্লেখ করেন তার সাথে গ্রুপের কোন দেনা পাওনা নেই।

রনি রাজ আরও জানান, চারকি থেকে অব্যহতি নেয়ার প্রায় এক বছর পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর আক্তারুজ্জামান প্রিন্স রাজশাহীর আদালত মামলা করেছে। মামলায় আমাকে ছাড়াও আমার স্ত্রী আতিকা খাতুন ও ব্যবসায়ী পার্টনার নরুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় তিনি সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেছেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত ভার প্রদান করেছেন। পিবিআই তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, প্রিন্স একজন টাউট বার্টপার প্রকৃতির যুবক। এক বছর নয় মাস আমার প্রতিষ্ঠানে সে চাকরি করেছে। এরই মধ্যে তিনি দুর্নীতি করে কোম্পানির টাকা আত্মসাত করে। দ্রুত বিষয়টি নজরে আসার কারণে তার দুর্নীতি থেকে কোম্পানি রক্ষা পেয়েছে। শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য প্রিন্স আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে আমি মনে করি। এ ধরণের টাউট ব্যক্তিদের সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই করে প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ রইল। -বাণিজ্যিক

শেয়ার করুন