পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশের জনগণ, ওয়ান টু অল, র্যাঙ্ক অ্যান্ড ফাইল, র্যাবকে খুব পছন্দ করে। তারা বিশ্বাস করে র্যাব মানুষের সিকিউরিটি দেয়। তারা বিশ্বাস করে র্যাব করাপশন করে না। তারা বিশ্বাস করে র্যাবের কাছে গেলে তারা বিচার পাবে।
গত ২ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডি সি’তে এক সাক্ষাৎকারে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাকে এই কথা বলেন এ. কে. আব্দুল মোমেন। সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, যদি কোথাও র্যাবের অপরাধ হয়ে থাকে, অবশ্যই তার বিচার হবে। ট্রান্সপারেন্সি আমরা চাই, অ্যাকাউন্টেবিলিটি চাই। এতে কোনো ব্যত্যয় নাই।
র্যাবে অনিয়ম হলে শাস্তি হয় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, র্যাবের অনেক লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে, কিংবা ডিমোশন হয়েছে। এমনকি কয়েকজনের ফাঁসিরও আদেশ হয়েছে, কারণ তারা হাইলি ইররেগুলার কাজ করেছে। জবাবদিহিতার একটা নিয়ম আছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। আর সম্পর্ক একদিনের না, আজকে ৫০ বছরের সম্পর্ক। এবং যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ। সিঙ্গেল কান্ট্রি (একক দেশ) হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় ট্রেডিং পার্টনার (বাণিজ্য অংশীদার)। আর বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। তাহলে একটি দুর্ঘটনা– সেটা নিয়ে আমাদের সম্পর্ক বিচার বিশ্লেষণ করা ঠিক হবে না। আর বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিলিভ ইন সেইম ভ্যালুস অ্যান্ড প্রিন্সিপ্যালস। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে যখন গণতন্ত্র ধুলিসাৎ হয়ে যাচ্ছিল। টু আপহোল্ড ডেমোক্রেসি, জাস্টিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস – আমরা কিন্তু যুদ্ধ করেছি। আমাদের ৩০ লক্ষ লোক প্রাণ দিয়েছে। সো বাংলাদেশ ইজ আ হোম অব ডেমোক্রেসি। বাংলাদেশ ইজ আ হোম অব হিউম্যান রাইটস। বাংলাদেশ ইজ আ ল্যান্ড অব জাস্টিস। আর আমেরিকাও এই ভ্যালুজ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস, ডেমোক্রেসি বিশ্বাস করে। তো আমাদের একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে।