০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১১:৩৭ অপরাহ্ন
লাইভ সংবাদের মধ্যে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি হ্যাক করল বিক্ষোভকারীরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১০-২০২২
লাইভ সংবাদের মধ্যে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি হ্যাক করল বিক্ষোভকারীরা

চারের সময় হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা ঘটে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে করা এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় টেলিভিশনটির সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত হয়।

রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাষ্ট্র-চালিত ওই টেলিভিশনটি হ্যাকিংয়ের পর টেলিভিশনের পর্দায় একটি মুখোশ উপস্থিত হয়। পরে তার চারপাশে শিখাসহ সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির একটি ছবি দেখা যায়।

হ্যাকিংয়ে জড়িত ওই দলটি নিজেদেরকে ‘আদালত আলী’ বা আলীর বিচার বলে অভিহিত করেছে। মাহসা আমিনি নামে এক কুর্দি তরুণীর মৃত্যু নিয়ে নতুন করে অস্থিরতার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় টিভি হ্যাকের এই ঘটনা ঘটল।

মাহসা আমিনিকে তেহরানে নৈতিকতা পুলিশ তার চুল সঠিকভাবে না ঢেকে রাখার অভিযোগে আটক করেছিল। ২২ বছর বয়সী ইরানী কুর্দি এই তরুণীকে তার গ্রেপ্তারের তিন দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা যায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই ইরানজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।

বিবিসি বলছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টিভি নিউজ বুলেটিন সম্প্রচারের সময় হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা ঘটে এবং এতে করে সংবাদ সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত হয়। হ্যাকের ঘটনার পর টিভি পর্দায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মাথায় লক্ষ্যবস্তু করে মাহসা আমিনির ছবি এবং সাম্প্রতিক বিক্ষোভে নিহত অন্য তিন নারীর ছবি প্রদর্শন করা হয়।

ক্যাপশনগুলোর মধ্যে একটিতে লেখা ‘জেগে উঠুন এবং আমাদের সাথে যোগ দিন’। সেখানে অন্য একজন বলেছেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের যুবকদের রক্ত ​​ঝরছে’। অবশ্য হ্যাকিংয়ের এই ঘটনাটি ঠিক হয়ে যাওয়ার আগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

বিবিসি বলছে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরানে প্রায় সম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের এই ধরনের প্রদর্শন ইরানে ঐতিহাসিকভাবে বিরল। কিন্তু মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর কিছু প্রকাশ্য ভিন্নমত দেখা দিয়েছে।

এছাড়াও শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে সামনে আসা দৃশ্যগুলো দেখে মনে হচ্ছে- তেহরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সফরের সময় ‘বের হয়ে যাও’ স্লোগান দিচ্ছেন।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তেহরানের বাজারসহ বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে বেশ কয়েকটি শহরে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া সেখানে কিছু মানুষ একটি পুলিশ কিয়স্কে আগুন লাগিয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

শেয়ার করুন