জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরকারের তত্ত্বাবধানে যাওয়া নিয়ে কেএম নূরুল হুদা কমিশনের আপত্তি থাকলেও তা নিয়ে মাথা ঘামাবে না কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে আইন পাশের উদ্যোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, এনআইডি চলে গেলে তো আমাদের ব্যাপার নয়। এটা রাষ্ট্র, সরকার এবং পার্লামেন্টের বিষয়। এখানে আমরা কী করব?
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সুরক্ষা বিভাগে নিতে আইন পাশে সোমবার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আইন তো এখনো হয়নি। নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এনআইডি চলে গেলে তো আমাদের ব্যাপার নয়। এটা রাষ্ট্র, সরকার এবং পার্লামেন্টের বিষয়। এখানে আমরা কী করব? কাজেই এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনার কোনো কারণ নেই। এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা। আমরা নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেব।
নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরা ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করব। এনআইডি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডি আমাদের বিষয় নয়। এনআইডি এখানে থাকুক, সরকারের কাছে যাক; সেটা হচ্ছে তাদের (সরকারের) ওয়ার্ক। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন- সেজন্য ভোটার তালিকা শুদ্ধ আছে কি না, যদি ইভিএমে ভোট হয় আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে পারবে কি না, এগুলো আমাদের বিষয়।
ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির সংযোগের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, আমাদের ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে এনআইডি। এনআইডির বাই প্রোডাক্ট কিন্তু ভোটার তালিকা নয়। আমি পেপারে পড়ালাম, যে শিশুটির জন্ম হবে সেও এনআইডি পাবে। এখন সরকার যদি একটা উদ্যোগ নিয়ে থাকে সেখানে আমাদের প্রশংসা করা দরকার। এখন নির্বাচনটা যদি নিয়ে যেতে চায়, যে নির্বাচনটা অন্য কেউ করবে, তখন আমি কথা বলব। এনআইডি যদি চলে যায়, এতে নির্বাচন প্রসেস যদি বিঘ্নিত হয় তখন আমরা দেখব।