নানা ঘটন-অঘটনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শুরুটাই হয় অঘটন দিয়ে। এশিয়া চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে হারিয়ে দেয় পুচকে নামিবিয়া।
আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ডই উৎরে যেতে পারেনি দুবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর পর জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের এই খুদে সংস্করণে ম্যাচের আগে কে ফেভারিট তা বলা দুষ্কর ছিল।
বেশ কয়েকটি ম্যাচ ছিল শেষ ওভারের শেষ বলের টান টান উত্তেজনার। বৃষ্টিতে কয়েকটি ম্যাচ পণ্ড হওয়া ছাড়া আর বাকি সব ম্যাচই ছিল জমজমাট শ্বাসরুদ্ধকরা।
রোববার ফাইনালে বেন স্টোকসের অসাধারণ অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড।
এর পর থেকেই চলছে সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট, সর্বোচ্চ জুটি, সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ও ডিসমিসাল কার? এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
এসব রেকর্ডে নেই কোনো বাংলাদেশি খেলোয়াড়!
সর্বোচ্চ রান, গড় স্ট্রাইকরেটের তালিকায় সবার ওপরে ভারতের ব্যাটিং সেনসেশন বিরাট কোহলি। ছয় ম্যাচে তার রান সংখ্যা ২৯৬, নটআউট ইনিংস খেলেছেন ৮২ রানের। তার গড় ৯৮.৬৬, যা সর্বোচ্চ, স্ট্রাইকরেট ১৩৬.৪০। হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন চারটি।
কোহলির পর অবস্থান নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও’ডউডের। আট ম্যাচে তার রান সংখ্যা ২৪২, সর্বোচ্চ ইনিংস ৭১ (নটআউট), তার গড় ৩৪.৫৭, স্ট্রাইকরেট ১১২.৫৫। হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুটি।
তৃতীয় অবস্থানে এ মুহূর্তে ভারতের সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। ছয় ম্যাচে তার রান সংখ্যা ২৩৯, ইনিংস ৬৮, ব্যাটিং গড় ৫৯.৭৫, স্ট্রাইকরেট ১৮৯.৬৮। হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনটি।
এর পর বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। ছয় ম্যাচে তার রান সংখ্যা ২২৫, সর্বোচ্চ ইনিংস ৮০, ব্যাটিং গড় ৪৫, স্ট্রাইকরেট ১৪৪.২৩। হাফসেঞ্চুরি দুটি।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন শ্রীলংকার কুশল মেন্ডিস। আট ম্যাচে তার রান সংখ্যা ২২৩, সর্বোচ্চ ইনিংস ৭৯, ব্যাটিং গড় ৩১.৮৫, স্ট্রাইকরেট ১৪২.৯৪। হাফসেঞ্চুরি দুটি।
বোলারদের মধ্যে সেরাদের সেরা হয়েছেন শ্রীলংকার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আট ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ১৫টি। এর পর অবস্থান ইংল্যান্ডের স্যাম কারেনের। সাত ম্যাচে তিনি পেয়েছেন ১৩ উইকেট। এর পর অবস্থান যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস তারকা বাস ডি লিড (আট ম্যাচে ১৩ উইকেট), জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি (আট ম্যাচে ১২ উইকেট), দ. আফ্রিকার পেসার আনরিখ নরিয়ে ( পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট)।
সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় সবার শীর্ষে বিরাট কোহলি, ২৯৬ রান।
তবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলি রুশো। ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন জিম্বাবুয়ের সেরা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা, ১১টি।
জুটির দিক থেকে রেকর্ড ভেঙেছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। সেমিফাইনালে ভারতের বোলারদের তুলোধোনা করে ১৭০ রানের জুটি গড়েন তারা। এবং জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে। ৫ উইকেটে ২০৫ রান করেন প্রোটিয়ারা।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি না হলেও সেরা বোলিং ফিগার ইংলিশ স্পিনার স্যাম কারেনের। মাত্র ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
এবার আসা যাক উইকেটকিপারে পারফরম্যান্সের বিষয়ে।
সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল এসেছে ইংলিশ ক্যাপ্টেন ও উইকেটকিপার জস বাটলার ও নেদারল্যান্ডসের এডওয়ার্ডসের গ্লাভস ছুঁয়ে। ৯টি ডিসমিসাল করেছেন তারা।
৯টি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা।