কুমিল্লায় আগামী ২৬ নভেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ। সমাবেশ সফল করতে ৪ দিন আগেই অবস্থান নিয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের স্ত্রীকে।
আর বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রচারসহ সমাবেশ সফল করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিজাম উদ্দিন কায়সার।
কিন্তু এরা দুজনই দল থেকে বহিষ্কৃত। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে (কুসিক) দলের নির্দেশনা না মেনে ভোট করায় সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সারকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে এই গণসমাবেশে নিজেদের সক্রিয়তা প্রমাণ করে দলে ফেরার চেষ্টায় আছেন দুজনেই।
এদিকে দলের হাইকমান্ডের সিগন্যালেই বহিষ্কৃত এ দুই নেতা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা। যার ফলে নিজেদের পারফরম্যান্স ও শক্তি-সমর্থন দেখাতে মরিয়া কায়সার-সাক্কু।
জানা যায়, বিগত কুসিক নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাই সমাবেশের চার দিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন সাক্কু। তিনি সস্ত্রীক সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশস্থলে বসে নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুরের খাবারও খেয়েছেন সাক্কু দম্পতি।
এ সময় কর্মীদের সামনে একে অপরের মুখে খাবার তুলে দেন সাক্কু ও আফরোজা জেসমিন টিকলি। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি দল ছেড়ে যাব না, ৪০ বছর ধরে এ দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, এখন অন্য কোথায় যাব? ২৬ তারিখের সমাবেশ সফল করতে আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মাঠে আছি।
নিজাম উদ্দিন কায়সারও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২৬ তারিখের সমাবেশ সফল করতে বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে আমি নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে প্রচারণা চালাচ্ছি। পাশাপাশি অপশক্তির বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করছি। আমার জানপ্রাণ বিএনপির জন্যই, বিএনপিই আমার শেষ ঠিকানা। দল যদি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তা হলে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে আমি পুরো উদ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ব।