২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ০৮:৩৫:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এমটিএফই কেলেঙ্কারি: দায় কার রাজশাহী ও নওগাঁর ২ গ্রামে যাচ্ছে শহরের সুবিধা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও দেশে বাড়ছে নির্বাচনে বিএনপি আসুক বা না আসুক—বিকল্প রেখে আওয়ামী লীগের ভোটের ছক রাজশাহীতে 'আইসিটি ইন এডুকেশন লিটারেসি ট্রাবলস্যুটিং ও মেইনটেনেন্স 'বিষয়ক ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী বেনাপোল কাস্টমসের ১৯ কেজি সোনা চুরি: সাক্ষ্য গ্রহণেই আটকা বিচার ২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিলবোর্ড ব্যানার খুলে ফেলার অভিযোগ এবার সত্যিই মারা গেছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ হিথ স্ট্রিক ১৭ ব্যাংককে ৫০ হাজার কোটির বিশেষ সুবিধা
‘জঙ্গি ছিনতাইয়ের প্রধান সমন্বয়ক মেহেদী'
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১১-২০২২
‘জঙ্গি ছিনতাইয়ের প্রধান সমন্বয়ক মেহেদী'

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার  ‘প্রধান সমন্বয়কের’ দায়িত্বে ছিলেন ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ‘আনসার আল ইসলামের সদস্য’ মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি। জঙ্গিদের পালানোর পর তাদের খরচের জন্যও তিনি টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকার উৎসও জানতে পেরেছে পুলিশ। 

এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামিকে ছিনতাইয়ের তিনদিন পর মেহেদীকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে তার ‘জড়িত থাকার’ তথ্য তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আসাদুজ্জামান। 

তিনি বলেন, একটি মামলায় জামিনে থেকে মেহেদী আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে আদালত চত্বর থেকে চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। আর ঘটনার দিন প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার দিন আদালতেই ছিলেন জামিনে থাকা মেহেদী।
মইনুল ও সোহেল প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত। জামিনে থাকা মেহেদীও সেদিন হাজিরা দিতে আদালত প্রাঙ্গণে গিয়েছিলেন।

দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সেদিন রাতে ঢাকার কোতোয়ালি থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। সেখানে মেহেদীকে ১৪ নম্বর আসামি করা হয়।

সিটিটিসির সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, তারা চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তবে প্রধান লক্ষ্য ছিল আরাফাত রহমান (অভিজিত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি)। কিন্তু তাকে নিতে পারেনি।

মেহেদী জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পর তাদের পরবর্তী দিনগুলোতে চলাচল ও খরচ মেটানোর জন্য বেশকিছু টাকাও দেয়। এই টাকাগুলো কোথা থেকে এসেছে সে তথ্যও পুলিশ জানতে পেরেছে।

পুলিশ বলছে, মেহেদী নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতা জিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে ‘আসকারি’ বিভাগের সদস্য নিয়োগ করতেন। তার বাড়ি সিলেটে।

তিনি বলেন, মেহেদী ২০১৩ সালে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন এবং তার আগে হিযবুত তাহরীর সদস্য ছিলেন।

শেয়ার করুন