২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিরাপদ পানি পায় ৫৯ ভাগ মানুষ, নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ৩৯
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৫-২০২২
নিরাপদ পানি পায় ৫৯ ভাগ মানুষ, নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ৩৯

দেশের মাত্র ৫৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। আর নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে ৩৯ শতাংশ ক্ষেত্রে। সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘এডিপি বরাদ্দে আঞ্চলিক বৈষম্য: এসডিজি -৬ অর্জনে একটি বাধা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।


‘২০২২-২৩ জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ’ শিরোনামে বাজেট পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান।


তিনি বলেন, ‘এমডিজির পরবর্তীতে এসডিজির যুগে আমরা। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রার ধরনে কিছু মানগত পার্থক্য রয়েছে। এমডিজিতে শুধু পানি পাওয়ার লক্ষ্য ছিল। এসডিজির লক্ষ্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা। পানি পেলেই তা নিরাপদ নয়। দেশের ৯৮ শতাংশ পানি পায়। কিন্তু ২০২১ সাল পর্যন্ত দেখা যায়, ৩৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার জন্য বাড়তি কর্মসূচি, নজর লাগবে। মানসিকতায়ও নিরাপদ পানির বিষয়টি আনতে হবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যানিটেশন উপ-খাতেও অগ্রগতির বিষয়টি উদ্বেগজনক। এমডিজি সময়কালে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ নির্মূলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করে। জাতীয় অগ্রাধিকার সূচক অনুযায়ী শতভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা সেবার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, সেখানে ২০২১ সাল পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ৩৯ শতাংশ। তার মধ্যে গ্রামে ৪২ শতাংশ এবং শহরে ৩৪ শতাংশ।


প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিনের অন্যান্য মৌলিক নির্দেশকের অগ্রগতি মাত্র ৫৮ শতাংশ এবং ‘সাবান অথবা পানি ছাড়া’ নির্দেশকের জাতীয় অগ্রগতি মাত্র ৩৬ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়।


বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, এডিপির মোট বরাদ্দের (২৬৬,৭৯৩ কোটি টাকা) হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বরাদ্দে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ১৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এসব এলাকায় বরাদ্দ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ বছর আগের তুলনায় ৭২ শতাংশ কমেছে।


ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ইউনসেফ বাংলাদেশ, ফানসা-বিডি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, অ্যান্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম, ইউনিসেফ এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

শেয়ার করুন