ঝড়ে ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি, বিদ্যুত সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে সেখানে বাঁশ দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকূট ইউনিয়নের পূর্ববালি খোলা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনাটি ঘটেছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২০ মে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের পূর্ব বালিখোলা গ্রামের খাগালিয়া খালের শেষ প্রান্তে দুর্গাপুরের কাছের বিদ্যুত সংযোগের খুঁটিটি ঝড়ে ভেঙে যায় । কিছুদিন বিদ্যুত সর্বরাহ বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের টাওয়ার। বর্ষার পানি চলে আসায় এমন বাঁশের টাওয়ার বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভরাবর্ষায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের নৌকা চলাচল করে খাগালিয়া খাল দিয়ে। বাঁশের সঙ্গে নৌকার ধাক্কায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বাঁশের এমন নড়বড়ে অবস্থার কারণে ঝুঁকিতে আছেন আশপাশের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা রমিজ মিয়া বলেন, আমরা এ খাল দিয়ে নৌকায় করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল আনা-নেওয়া করি। ঝড়ের সময় ভেঙে যেতে পারে বাঁশের এ খুঁটি। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বালিখোলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, আমাদের এখানে বর্ষাকালে পানি বেড়ে যায়। তখন নৌকার ব্যবহার বেড়ে যায়। বাঁশকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করার কারণে যেকোনো সময় নৌকার সঙ্গে বা অন্য কোনোভাবে ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাঁশ না দিয়ে খুঁটির ব্যবহার করলে ভালো হত।
ভলাকুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া জানান, এভাবে বাঁশ দিয়ে খুঁটি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এখান দিয়ে ভলাকুট, চাতলপাড় ও কিশোরঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সাধারণ মানুষ নৌকায় যাতায়াত করে। তাই অতিদ্রুত খুঁটি দেওয়া প্রয়োজন।
নাসিরনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, এখানে বেশি পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁশের অস্থায়ী টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। পানি সরে গেলে খুঁটি স্থাপন করা হবে।