২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৫:২১:৪৯ অপরাহ্ন
ফারদিনের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে পুলিশের বক্তব্য: যা বললেন বাবা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১২-২০২২
ফারদিনের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে পুলিশের বক্তব্য: যা বললেন বাবা

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী। তারা বলছেন, ফারদিন গভীর রাতে শীতলক্ষ্যায় ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। 

তবে পুলিশ ও র‌্যাবের এই বক্তব্য মানতে পারছেন না ফারদিনের বাবা সাংবাদিক কাজী নূরউদ্দিন রানা। তিনি বলছেন, যে তথ্যের ভিত্তিতে আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে, তাতে একমত নন তিনি।

গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল থেকে বুয়েটছাত্র ফারদিনের (২৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছিলেন, ফারদিনের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে, তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

ফারদিনের বাবা এরপর হত্যা মামলা করলে তা তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ। পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে র‌্যাব।
তদন্তের গতি নিয়ে ফারদিনের পরিবার ও সহপাঠীদের অসন্তোষের মধ্যে ৪০ দিন পর বুধবার র্যা ব-ডিবি উভয় পক্ষ থেকে আলাদাভাবে সাংবাদিকদের বলা হয়, এই তরুণ নিখোঁজ হওয়ার রাতেই ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, পরীক্ষা ফল খারাপ হওয়া এবং বিদেশ যাওয়ার অর্থ সংস্থান না হওয়ায় হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেন এই তরুণ।

ফারদিনের বাবা দাবি করেন, তার ছেলের আত্মহত্যা করার কোনো কারণ নেই। যে যুক্তিতে তার আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়।

বুয়েটের পুরকৌশলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন থাকতেন ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে। বিতার্কিক হিসেবে এই বছরই স্পেনের এক অনুষ্ঠানে তার যাওয়ার কথা ছিল।

গত ৪ নভেম্বর দুপুরে কোনাপাড়ার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন ফারদিন; বলে গিয়েছিলেন, পরদিন তার পরীক্ষা রয়েছে বলে রাতে বুয়েটের হলেই থাকবেন। পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরবেন।

সেদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমতুল্লাহ বুশরা নামে এক বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন তিনি। ওই তরুণীকে আসামি করে ফারদিনের বাবা মামলা করার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ফারদিনের মধ্যে সেদিন কোনো অস্বাভাবিকতা না দেখার কথা বুশরাও বলেছিলেন পুলিশকে।

তাকে উদ্ধৃত করে ডিবি কর্মকর্তা হারুন এর আগে বলেছিলেন, বুশরার বক্তব্য হচ্ছে, তারা যতক্ষণ একসঙ্গে ছিলেন, ততক্ষণ ফারদিন স্বাভাবিকই ছিলেন। তারা রেস্তোরাঁয় খেয়ে নিজ নিজ বিল দিয়েছেন। তাকে রামপুরা নামিয়ে দিয়ে ফারদিন চলে যায়।

র‌্যাব-পুলিশ তদন্তে পাওয়ার দাবি করলেও তা মানতে নারাজ তার সহপাঠীরা। এর প্রতিবাদে তারা কর্মসূচিও ডেকেছেন।

শেয়ার করুন