২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০১:২১:২৪ পূর্বাহ্ন
ভারতীয় বোলারদের দাপটে দাঁড়াতেই পারল না ব্যাটসম্যানরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১২-২০২২
ভারতীয় বোলারদের দাপটে দাঁড়াতেই পারল না ব্যাটসম্যানরা

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটির দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে দ্বিতীয় দিনশেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করেতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ফলো-অন এড়াতে এখনও দরকার ৭২ রান।

চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশি কোনো ব্যাটার। 

ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণি জাদুর শিকার হয়ে দিনের শেষভাগে একের পর এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 

ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সিরাজের বল ব্যাটে লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, আরেকটি ‘গোল্ডেন ডাক’ উপহার দিলেন দলকে। এরপর ইয়াসির শাহ ১৭ বলে ৪ রান করে উমেশ যাবদের শিকার হয়েছেন।

ঞ্চের আগে লিটনের ইনিংসও আশা দেখাচ্ছিল বেশ। উমেশ যাদবের ওভারে টানা তিন চার মেরেছিলেন তিনি। সবগুলো শটই ছিল দৃষ্টনন্দন।

কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে সিরাজের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান লিটন। পরের বলেই বোল্ড হন। ডিফেন্ড করতে গেলে বল ব্যাটে লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৩০ বলে ৫ চারে ২৪ রান করেন লিটন। এরপর সাকিব আল হাসান ধৈর্য ধরেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ।  

কিন্তু পরে তিনিও আউট হন উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে। কুলদ্বীপ যাদবের টার্ন করা বল ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো কোহলির হাতে ক্যাচ যায়। ২৫ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান সাকিব। এরপর নুরুল হাসান সোহান শর্ট লেগে দাঁড়ানো শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দেন যাদবের বলে। ২২ বলে ১৬ রান করেন এই ব্যাটার।  

অনেক্ষণ ধরে ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিমও বিদায় নেন এরপর। ৫৮ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন তিনি। তাইজুল ইসলামও ৪ বলে ০ রান করে বোল্ড হয়ে যান যাদবের বলে। দিনশেষে বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন।  ৩৫ বলে ১৫ রান করে মিরাজ ও ২৬ বলে ১৩ রান করে এবাদত।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানের সংগ্রহ করেছে ভারত। আজ ৬ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে ছিলেন কেবল শ্রেয়াস আইয়ার। সকাল সকাল সেই কাঁটা উপড়ে নেন এবাদত হোসেন। ১৯২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৬ রান করেন আইয়ার।

২৯৩ রানে ভারত হারায় ৭ উইকেট। মনে হচ্ছিল, তিনশর আশপাশেই অলআউট হয়ে যাবেন সফরকারীরা। কিন্তু লোয়ার অর্ডারের রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর কুলদ্বীপ যাদব সেই হিসাব বদলে দেন। ২০০ বল খেলে তারা গড়ে ফেলেন ৮৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি।

অবশেষে এই জুটিটি ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। টাইগার অফস্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন অশ্বিন, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান সহজেই ভেঙে দেন স্টাম্প। ১১৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় অশ্বিনের ইনিংসটি ছিল ৫৮ রানের।

অশ্বিন আউট হওয়ার পর অবশ্য কুলদ্বীপও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই তাইজুল এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তাকে (৪০)। ১৩৩.৫ ওভারে ভারত অলআউট হয় ৪০৪ রানে।

বাংলাদেশের দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট।

শেয়ার করুন