একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারী কাকে রেখে কার বিচার করবেন- জাতীয় সংসদে এ প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পালটা এ প্রশ্ন করেন।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান সম্পূরক প্রশ্নে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনতে নতুন করে কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে কিনা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ’৭৫ সালের পর বিকৃতি শুরু হয়। জাতির পিতাকে হত্যাকারী ও ক্ষমতা দখলকারীরা এই বিকৃতি শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে তা ২১ বছর ধরে চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষকে সেই বিকৃত ইতিহাস থেকে মুক্তি দেয়। আজ বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল উদ্ভাসিত নয়, দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্ম এই ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস এখন বিকৃতি করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ তা করতেও পারবে না। এট সম্ভবও নয়।
তিনি বলেন, ইতিহাস যারা বিকৃত করেছে- আমি যদি ঠিক ’৯৬ সালের আগে যাই, তাহলে কাকে রেখে কার বিচার করব। এটাই হলো বাস্তবতা। আমি দেখি, ’৭৫ সালের পর যারাই ছিলেন, এমনকি যারা সত্য কথাটাও জানতেন, তারাও মিথ্যার ওপর আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকা- পুরোনো দিকটায় তাকালে কেউই বাদ যাননি। খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষ এর প্রতিবাদ করেছেন বা সঠিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। এদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কাকে বিচারের আওতায় আনব, এটা একটা বড় প্রশ্ন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে, ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে, তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। কত জঘন্য কাজ তারা করে গেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।