০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:২২:৩২ অপরাহ্ন
উপাচার্যের বক্তব্য ঘিরে সংবাদ করায় কুবি ছাত্রকে বহিষ্কার, প্রত্যাহার করতে আইনি নোটিশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
উপাচার্যের বক্তব্য ঘিরে সংবাদ করায় কুবি ছাত্রকে বহিষ্কার, প্রত্যাহার করতে আইনি নোটিশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সংবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জাতীয় একটি দৈনিকের প্রতিনিধিকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আটজনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। আগামী তিন দিনের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 


ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি কুবি সাংবাদিক সমিতিরইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি কুবি সাংবাদিক সমিতির

আজ বুধবার দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে আইনি নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। 


উপাচার্য ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকেও ডাকযোগে এবং ইমেইলে নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। 


আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে জানান, ইকবালকে বহিষ্কারের আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া তাঁর সংবাদে উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন। 


তিনি আরও জানান, কোনো সংবাদে উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে তাঁর প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু উপাচার্যের হুবহু বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যার অডিও রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে। ইকবালকে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যার জন্য নোটিশ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ ন্যায়বিচারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। এটি বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (২) (খ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থী। 


শেয়ার করুন