ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বৈঠক হয় বিসিবি কর্মকর্তাদের। মুমিনুলকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এক প্রকার হয়ে যায় সেদিনই।
এরমধ্যেই মঙ্গলবার টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন মুমিনুল।
শোনা যাচ্ছে সাকিবকে টেস্টের নেতৃত্বে ফেরানো হচেছ। সাকিবেরও এতে আপত্তি নেই। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এবং ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসকে নাকি একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। আর সেটি হচ্ছে মুমিনুলকে স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব ছাড়তে হবে।
সেই অনুযায়ী মুমিনুল নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভাশেষে তৃতীয়বারের মতো সাকিবকে টেস্ট অধিনায়ক ঘোষণা করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে লম্বা সময় পর সহঅধিনায়কও পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেস্ট দল। লিটন কুমার দাসকে করা হতে পারে সহঅধিনায়ক। লিটনকে সহঅধিনায়ক করার প্রস্তাব আগে থেকেই ছিল। দেরিতে হলেও সেটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যদিও সাকিবকে অধিনায়ক করার বিষয়টি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি বিসিবি সভাপতি।
এ বিষয় নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সাকিব যে কোনো ফরম্যাটেই অধিনায়ক হতে পারেন। কিন্তু তিনি নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন কিনা তা আমাদের জানতে হবে।
পাপন বলেন, সাকিব যদি বলে যে সে ফরম্যাট বেছে নেবে না, তা হলে সমস্যা হবে। সাকিব আমাদের অধিনায়ক ছিলেন এবং তার অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তার প্রাপ্যতা সম্পর্কেও আমাদের নিশ্চিত হতে হবে।
তিনি বলেন, সাকিবের সঙ্গে আগে আলোচনা করতে হবে। আমরা ইচ্ছা করে কাউকে ক্যাপ্টেন বানাতে পারি না, তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।