আসছে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে বর্ষপূর্তি হতে যাচ্ছে। গত বছরের এই দিনে প্রতিবেশী দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধের বছর পূর্তিতে মস্কোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার ইইউ ও ইউক্রেনের মধ্যকার সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুপক্ষের মধ্যে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২৭ দেশের সংস্থাটির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার ১০ম প্যাকেজ ঘোষণার কথা জানিয়েছেন। সম্মেলন শেষে কিয়েভে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রেকর্ড করা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার ১০ম প্যাকেজ আরোপের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আমরা তা ঘোষণা করব।’ সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিখায়েল এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উপস্থিত ছিলেন।
উরসুলা তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইইউ ইতোমধ্যে যে নিষেধাজ্ঞা মস্কোর বিরুদ্ধে দিয়েছে; তার জন্য রাশিয়ান অর্থনীতিকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অর্থাৎ যুদ্ধের এক বছরের মাথায় নিষেধাজ্ঞার নতুন যে প্যাকেজ কার্যকর হতে যাচ্ছে, তা প্রায় ১ হাজার ৮০ কোটি ডলার মূল্যমানের।
‘এটি একটি বিশাল প্যাকেজ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্যাকেজে রাশিয়া ওপর আরও প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা থাকছে। বিশেষ করে দেশটির ড্রোন উৎপাদন কিংবা ইরান থেকে ড্রোন সংগ্রহের বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
এক বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য অর্থনৈতিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ। তবে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের মিত্ররা প্রত্যাশা অনুযায়ী রাশিয়াকে কাবু করতে পারেনি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বরং মস্কোর দাবি, পশ্চিমাদের নানা সহায়তার কারণেই ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।