ইউক্রেনে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। রাশিয়া ধীরে ধীরে অনেক সেনা মাঠে নামাচ্ছে। এমন কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
পশ্চিমাদের ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণার পর দেশটিতে হামলা জোরদার করেছে রুশ সেনারা। দেশটির বাখমুত দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুতিন বাহিনী। সেইসঙ্গে ভোলেদারও দখলে নিতে চায় তারা।
গতকাল রাতে এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, যারা ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করছে তাদের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দখলদারেরা দলে দলে নতুন সেনাবাহিনী মাঠে নামাচ্ছে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা ভেঙে দিতে সক্ষম হচ্ছে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, বাখমুত, ভোলেদার, লিমানসহ ওই অঞ্চলের শহরগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
অবশ্য এর আগে দেশটির ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালইয়ার টেলিগ্রামে লিখেছেন, বাখমুত ও লিমানে রুশ সেনারা ইউক্রেন বাহিনীর প্রতিরক্ষা ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে।
লিমান শহরটি বাখমুতের উত্তরে অবস্থিত। গত অক্টোবরে রাশিয়ার কবল থেকে মুক্ত করা হয় এই শহর। ফের এটি রাশিয়ার দখলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার জেলেনস্কি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বাখমুত রক্ষায় আমৃত্যু লড়াই করে যাবে ইউক্রেনের সেনারা। কিয়েভে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছিলেন, আমরা বাখমুত রক্ষায় আমৃত্যু লড়াই করব। একে দূর্গের ন্যায় রক্ষায় নিয়োজিত থাকব।
জেলেনস্কি আরও বলেছিলেন, যদি আমাদেরকে আরও বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। তাহলে বিভিন্ন অঞ্চল রক্ষা করা সহজ হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে দোনবাস অঞ্চল থেকে শত্রুদের বিতাড়িত করাও সম্ভব হবে।
এদিকে রুশ বাহিনী জানিয়েছে, বাখমুতের চারদিক ঘেরাও করে ফেলেছে তারা। একে একে শহরটির বিভিন্ন সড়ক দখলে নিচ্ছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুত। গত বেশ কয়েকমাস ধরে শহরটিতে গোলাবর্ষণ করে আসছে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলার এক বছর পূরণ হতে যাচ্ছে। রাশিয়া জানিয়েছে, নতুন করে বড় হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনে হামলার বর্ষপূর্তি করবে তারা।
এদিকে ফ্রান্সের এক টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্য দেয়ার সময় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ দাবি করেছেন, নতন করে প্রায় পাঁচ লাখ সেনা মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করছে মস্কো।