৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:৩৬:০১ অপরাহ্ন
ঢাবিতে সহকর্মীকে পেটানোয় শিক্ষকের পদাবনতি, যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত আরেকজন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৯-২০২৩
ঢাবিতে সহকর্মীকে পেটানোয় শিক্ষকের পদাবনতি, যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত আরেকজন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে পদাবনতি দিয়ে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ওয়াসেল বিন সাদাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


জানা যায়, গত আগস্টে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী থিসিস জমা দিতে গিয়ে আইবিএর সহকারী অধ্যাপক ওয়াসেল বিন সাদাত কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হন। প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এখন বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে।


উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গতকালের ওই সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে আর বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


সভায় পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জালিয়াতির মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নেওয়ায় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল এবং তাঁকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতির দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিন বছর স্থায়ী করার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ গৃহীত হয়। গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল এবং তাঁকে প্রভাষক হিসেবে পদাবনতির সিদ্ধান্তও তিন বছর স্থায়ী করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।


এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেট সভায় ১৬ জন গবেষককে পিএইচডি এবং ১৪ জন গবেষককে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে পরীক্ষাসহ ৪ বছর, ৫৩ জনকে পরীক্ষাসহ ৩ বছর এবং ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষাসহ ২ বছর বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। দুজন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট কোর্সের মিডটার্ম-ইনকোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।


শেয়ার করুন