কন্ডিশন ও উইকেট নিয়ে চিন্তা করতে চান না। বাংলাদেশ যেন একটা ভালো দল হয়ে ওঠে এটিই প্রত্যাশা। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর শহরের একটি শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা বলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয়ের অন্যতম রূপকার সাকিব। বল হাতে ২৬ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ২৪ বলে ৩৪ রান করে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। ম্যাচ শেষ করে অন্য আনুষ্ঠানিকতা সেরেই তাকে ছুটতে হয়েছে বাণিজ্যিক দায়িত্ব পালনে।
শোরুম উদ্বোধনের পর তিনি বাংলাদেশকে একটি ভালো দলে পরিণত করার প্রত্যয়ের কথাই জানিয়েছেন, আমরা উইকেট নিয়ে ভাবতে চাই না, কন্ডিশন নিয়ে চিন্তা করতে চাই না। আমরা একটা ভালো দল হয়ে উঠতে চাই। আমরা যে কোনো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাই। ভালো দলগুলো এটাই করে।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এখন নিশ্চয়ই সাকিবের চোখ সিরিজ জেতার দিকে। ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচটা দারুণভাবে জেতার পরও অবশ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতি শ্রদ্ধা বাংলাদেশ অধিনায়কের— ‘ইংল্যান্ড অনেক ভালো দল। আমাদের ভালো খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচটা ভালো করেছি, চেষ্টা করব পরের ম্যাচগুলো ভালো খেলতে।’
কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে বড় অবদান নাজমুল হোসেন শান্তর। তার ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংসে দল ইংল্যান্ডের ১৫৬ রান তাড়া করার পথে এগিয়ে যায় অনেকটাই। এবারের বিপিএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তৌহিদ হৃদয়ও ১৭ বলে করেছেন ২৪ রান। আট বছর পর জাতীয় দলে আবারও সুযোগ পাওয়া রনি তালুকদারও ১৪ বলে করেছেন ২১। শেষ পর্যন্ত সাকিবকে সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ, ১৩ বলে ১৫ রান করে।
মোটামুটি একটা নতুন চেহারার দলই জয় ছিনিয়ে নিল বাটলার-ম্যালান-মঈন আলী-স্যাম কারেনদের বিপক্ষে। ব্যাপারটা ইতিবাচক। তবে সাকিব মনে করেন, নতুন করে শুরুর পর এখন এই পারফরম্যান্সকে এগিয়ে নিতে হবে, শুরুটা ভালো হলো, এখন এখান থেকে যেন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি, আমাদের কাজটা সেভাবেই করতে হবে। আমরা সেটা চেষ্টা করব এবং ভালো খেলারই চেষ্টা করব।’
কালকের ম্যাচে তিন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট দারুণ স্বস্তি হয়ে এসেছে। নাজমুলের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭০, রনির ১৫০ আর তৌহিদের ১৪১। সাকিব নিজেও ১৪১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন। সাকিব চান, সুযোগ পেলে এভাবেই নতুনরা যেন নিজেদের মেলে ধরেন, এভাবে কেউ যদি খেলে বা নতুন কেউ যদি দলে এসে নিজেকে মেলে ধরতে পারে, সেটি দলের জন্য ভালো, সেই খেলোয়াড়ের জন্যও ভালো।’