বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৪০১ জন। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ২৬ হাজার ৫২৫ জন। আর শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৪২৮ জনে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫০ জন। রোববার (২৬ মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জাপানে। দেশটিতে একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ২৮৬ জন। এ নিয়ে এশিয়ার এ দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন কোটি ৩৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৬১ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৭৩ হাজার ৭২৫ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৮৮১ জন।
দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে জাপানের পরই রাশিয়ার অবস্থান। দেশটিতে একদিনে মারা গেছেন ৩৭ জন করোনা রোগী। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ৩৮২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৭০ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন তিন লাখ ৯৭ হাজার ৪৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে তাইওয়ান। দেশটিতে একদিনে মারা গেছেন ২৫ জন এবং শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন। এ নিয়ে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি দুই লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৯৫৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৮৬ হাজার ১০৬ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩৩৩ জন রোগী এবং মারা গেছেন সাতজন। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত বেড়ে হলো ১০ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার ১৬৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৭ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ৫২৪ জন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৫ জন এবং মারা গেছেন ছয়জন । এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো তিন কোটি সাত লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৫ জনে এবং মৃত বেড়ে হলো ৩৪ হাজার ২১৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ২৮৮ জন।
পোল্যান্ডে একদিনে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩৫৯ জন এবং মারা গেছেণ ১৩ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। ফ্রান্সে একদিনে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা আট হাজার ৪৩৫ জন। চিলিতে শনাক্ত হয়েছেণ তিন হাজার ২৪ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন।
এছাড়া পেরুতে তিনজন, ফিলিপাইনে ছয়জন, ডেনমার্কে আটজন, সার্বিয়ায় আটজন, স্লোভাকিয়ায় দুজন, লিথুনিয়ায় দুজন, বুলগেরিয়ায় দুজন, আজারবাইজানে সাতজন, সৌদি আরবে একজন, মন্টিনিগ্রোতে একজন এবং অস্ট্রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।