০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ০৮:২৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা

গ্যাস খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এর লক্ষ্য সিস্টেম লস কমানো, গ্যাসের চুরি ও অপচয় ঠেকানো এবং সরবরাহ ও গ্রাহক পর্যায়ে ব্যবহারের মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। পেট্রোবাংলা মনে করছে, এর আওতাধীন কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা গতানুগতিক হওয়ায় অনিয়মে কাউকে দায়বদ্ধ করা যাচ্ছে না। ফলে সংস্কার এনে প্রতিটি এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ, ব্যবহার বা সিস্টেম লস-গেইনের হিসাবও বের করতে চায় তারা।


দেশীয় উৎস থেকে উৎপাদিত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ পয়েন্ট থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে কাজ করছে পেট্রোবাংলার কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানি পরিচালনায় ইতোমধ্যে সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করে কাজ শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি।


গ্যাস সরবরাহের প্রতিটি পর্যায়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে চারটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিয়েছে পেট্রোবাংলা। এ ছাড়া রয়েছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স টিম। সংস্থাটির


উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমন এক প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করছেন যেখানে প্রকৃত অর্থে জবাবদিহিতা নেই। বছরের পর বছর গড়পড়তা কাজ করার ফলে গ্যাস সেক্টর বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। সিস্টেম লসের নামে গ্যাসের অপব্যহার, গ্যাসের চুরি জায়েজ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কোন কোন সেক্টরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিরামহীন কাজ করছেন আবার কোন কোন সেক্টরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বছরের পর বছর তেমন কাজই করছেন না। ফলে গ্যাস খাতে একটা আমূল সংস্কার করতে চায় পেট্রোবাংলা।


পেট্রোবাংলা চায় গ্যাসের ব্যবহার প্রতিটি পর্যায়ে মনিটরিং হবে। প্রতিটি এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ, ব্যবহার এবং সেখান থেকে আদায়কৃত রাজস্বের হিসাব হবে। এলাকাভিত্তিক মিটারিং এবং সিস্টেম লস নির্ধারণ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হবে।


পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, একটি সঞ্চালন কোম্পানির মাধ্যমে ছয়টি বিতরণ কোম্পানিতে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (জিটিসিএল) পয়েন্ট থেকে মিটার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কোন কোম্পানিতে কতটুকু গ্যাস সরবরাহ করা হয় সেটার একটা হিসাব রাখা যায়। কিন্তু গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের অভ্যন্তরে কোন এলাকায় কতটুকু গ্যাস ব্যবহার করছে সেটা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।


পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, আমরা একটা ভালো কোম্পানি এবং একটা খারাপ কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করছি। যে কোম্পানি ভালো করল সে কেন করল সেটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। জালালাবাদ এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানিকে আইডল নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, শাহীবাজার আলাদা আলাদা নেটওয়ার্ক, আলাদা গ্যাস স্টেশন, আলাদা আলাদা এরিয়া থাকায় সেখানে কত গ্যাস নেয় এবং কত ব্যবহার হয় সেটা ভালোভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। সেখানে ম্যানেজমেন্টও ভালো।


শেয়ার করুন