মোটামুটি ঘণ্টা চারেক আগুনে পুড়েছে নিউ সুপার মার্কেট। কিন্তু তাতেই সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেটের ভেতরে ঢুকে দেখছেন সব শেষ। যে কাপড়গুলো পোড়েনি সেগুলোও নষ্ট হয়ছে পানিতে ভিজে।
দুপুরেও এই মার্কেট থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। আর ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানে ঢুকে কাগজপত্র, টাকাপয়সা যা পাচ্ছেন বস্তায় ভরে বের করছেন।
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এখন ঘুরে দেখছি কোনো কূলকিনারা পাওয়া যায় কি না।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমার পাইকারি দোকানে বিশ লাখেরও বেশি টাকার কাপড় ওঠানো ছিল। আজকে হোলসেল ডেলিভারি দেওয়ার জন্য অনেকগুলো প্যাকেট কমপ্লিট করে দোকানে রেখে রাতে বাসায় গিয়েছিলাম।
সকালে এসে দেখলাম সবশেষ। এখন কিভাবে ঘুরে দাঁড়াব সেটি বুঝতে পারছি না।
আসমাউল মুত্তাকিন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমার দোকানে শীতের জ্যাকেট ও তুলার তৈরি গরম কাপড় রাখা ছিল। আগুনে না পুড়লেও পানির ছাটে নষ্ট হয়ে গেছে।
এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে সবগুলো বের করার চেষ্টা করছি। কিভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠব তা বুঝতে পারছি না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন। আমরা খেয়াল রাখি যেন কোনো দুষ্কতকারী এই জায়গায় কোন ধরনের ঝামেলা তৈরি করতে না পারে।
অপরদিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মার্কেট খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন।
তিনি বলেন, নিউমার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সব দোকান মালিকদের কে নিয়ে এই জায়গায় অবস্থান করছি।
যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হবে অর্থ্যাৎ সম্পূর্ণভাবে আগুন না নিভবে ততক্ষণ পর্যন্ত মার্কেট খোলা হবে না। এটি সবার সাথে বসেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।