নাশকতা মামলায় অভিযুক্ত সাতক্ষীরা ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের চূড়ান্ত বরখাস্তের আবেদন নামঞ্জুর করায় যশোর বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে যশোর বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আর্বিট্রেশন কমিটির ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা জানতে চেয়ে শিক্ষা সচিব, যুগ্ম সচিব, যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্কুল পরিদর্শকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আদেশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী হারুন-অর রশীদ ও হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সালাম ২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশনে ফ্লুইড ব্যবহার করে ‘সহকারী শিক্ষক’র স্থানে ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ হিসাবে নিয়োগ দেখিয়ে ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল এমপিওভুক্ত হন।
বিষয়টি জানাজানি হলে তদন্তে দেখা যায়, রেজুলেশনের প্রথম দুই লাইনে টেম্পারিং করা হয়েছে। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যার নাম ও পিতার নাম লেখা ছিল তা ফ্লুইড দিয়ে মুছে ওই স্থানে আব্দুস সালাম ও তার পিতার নাম লেখা হয়েছে। এছাড়া তদন্তে তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার ও স্কুলের ছয় লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এসব ঘটনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্তের পর চূড়ান্ত বরখাস্তের অনুমতির জন্য যশোর বোর্ডে আবেদন করে। কিন্তু যশোর শিক্ষা বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আর্বিট্রেশন কমিটি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পুনঃতদন্ত করে ও কমিটির ৮৫তম সভায় অভিযুক্ত শিক্ষকের চূড়ান্ত বরখাস্তের আবেদন নামঞ্জুর করে।
এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবীর হাইকোর্টে রিট করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যশোর শিক্ষাবোর্ডের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত ও ওই আদেশ কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।