২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:২০:০০ অপরাহ্ন
রাজশাহীর উন্নয়নে আরো অনেক কাজ করতে চাই : লিটন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৪-২০২৩
রাজশাহীর উন্নয়নে আরো অনেক কাজ করতে চাই : লিটন

রাজশাহী মহানগরের অর্ন্তগত সাংগঠনিক ২৫ থেকে ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী সকল মহল্লা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

অনুষ্ঠানে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের কোন শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহীতে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহীর উন্নয়ন দৃশ্যমান। এতোগুলো টাকা রাজশাহীর উন্নয়নে কেউ কখনো আনতে পারেনি। ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আবারো নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরো ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা চেয়ে নিয়ে আসবো। এবারে আমার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম বিষয় থাকবে কর্মসংস্থান। শিল্পায়নের জন্য বিসিক শিল্পনগরী-২ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে উদ্যোক্তাদের নিয়ে এনে গার্মেন্টস কারাখানা করতে চাই। রাজশাহীর কল্যানে ও উন্নয়নে আরো অনেক কাজ করতে চাই।

রাসিক মেয়র বলেন, রাজশাহীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া খুবই যৌক্তিক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ আছে, জায়গা আছে, ভবন আছে, শিক্ষক আছে, সবই আছে। শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশনা, ঘোষণা এলে এটি বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। আশা করছি আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি, ডিও লেটার দিয়েছি, সব ক্ষেত্র প্রস্তুত। রাজশাহী থেকে কলকাতা ট্রেন ও বাস যাত্রা চালু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এটি হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আর ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে রাজশাহী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌ রুট চালুর কাজেও অগ্রগতি হয়েছে। এই নৌরুট চালু হলে রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বৃদ্ধি পাবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচন আসলে বিএনপি যে নাটকটি করে তা দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। দীর্ঘদিন থেকে দেখছি, বিএনপি বলছে, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে না, কোন প্রার্থী দেবে না।’ তাদের একটাই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের পতন, নির্বাচন কমিশন নতুন করে পুর্নগঠন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিএনপির দাবিও পূরণ হয় না। এদিকে নির্বাচন হয়ে যায়। তখন তারা (বিএনপি) যেটা করেন, সেটি ন্যাক্কারজনক ভণ্ডামি। সেই ভন্ডামিটা হলো তারা তাদের দলেরই কোন ব্যক্তিকে কাপ-পিরিচ, দোয়াত-কলম, ঘড়ি মার্কা ইত্যাদি দিয়ে বলে তোমরা ভোট করো।

মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে ২০০৮ সালে বাঘ মার্কায় ভোট করতে দেখেছি। এ রকম খেলা এবারো তারা খেলতে পারে বলে শুনতে পাচ্ছি। তখন তারা বলবে, দল থেকে তো আমরা মনোনয়ন দেয়নি, সে ব্যক্তি হিসেবে ভোট করছে, সেটি তার বিষয়। এই রকম ভন্ড, যাদের সম্পর্কে মানুষের জানতে বাকি নাই, তারা কত নোংরা, কত নিকৃষ্ট, কত ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের। সেই বিএনপির নেতারা প্রার্থী হয়ে রাজশাহীর উন্নয়ন দেবে এটি ভাবার কোন কারণ নেই।

খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে আবারো যদি অতীতের মতো আগুন সন্ত্রাস করে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাহলে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন মহল্লা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নাইমুল হুদা রানা, উপদেষ্টা নুরুল হুদা সরকার, ইসমাঈল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামার উল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ.আ জাহিদ, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, মোঃ শাহাব উদ্দিন, মোঃ ইসমাঈল হোসেন, আলিমুল হাসান সজল, কেএম জামান জুয়েল, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ।

এছাড়াও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি আব্দুল মমিন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, মহানগর যুব মহিলী লীগের সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু সহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ ও মহল্লা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন