০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ন
ছিনতাইয়ের সময় র‌্যাবের হাতে আটক পুলিশ সদস্য
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৪-২০২৩
ছিনতাইয়ের সময় র‌্যাবের হাতে আটক পুলিশ সদস্য

তিনি পুলিশের কনস্টেবল, কিন্তু পরিচয় দিয়েছিলেন র‌্যাব সদস্য। আর এ পরিচয় দিয়ে তল্লাশির নামে করছিলেন ছিনতাই। এ সময় স্থানীয় লোকজন এক সহযোগীসহ তাকে ধরে পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করে।


রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল গ্রামে শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে র‌্যাব।


গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল আবু হেনা মোস্তফা কামাল (৩১) রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দামকুড়া থানায় কর্মরত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামে। বাবার নাম তাহেরুল ইসলাম। আবু হেনার সঙ্গে গ্রেফতার অন্যজনের নাম মো. রাব্বী (২৭)। রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া আপেল ডেকোরেটর মোড়ে তার বাড়ি। বাবার নাম আমিনুল ইসলাম।


গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ীর চাপাল এলাকায় বুলবুল আহম্মেদ (২৪) নামে এক যুবককে তল্লাশি করছিলেন আবু হেনা ও রাব্বী। তল্লাশির নামে তারা বুলবুলের মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছিলেন। বুলবুল পরিচয় জানতে চাইলে আবু হেনা জানান, তিনি র‌্যাবের লোক। এ সময় বুলবুল পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে আবু হেনা ও রাব্বী মারধর শুরু করেন। তখন ভুক্তভোগী বুলবুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দুজনকে আটক করেন।



এরপর র‌্যাব-৫ এবং গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা সেখানে গেলে আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেন। পরে র‌্যাবের একটি দল দুজনকে আটক করে র‌্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে নিয়ে যায়।


ওসি কামরুল ইসলাম আরও জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় র‌্যাব আটক দুজনকে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছে। সকালে র‌্যাবের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও হয়েছে। দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।


র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন স্বীকার করেছেন যে, তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই চাপাল গিয়েছিলেন। র‌্যাবের মিথ্যা পরিচয় দেওয়া এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।



ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ কনস্টেবল আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ঘটনা সত্য হলে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন