মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ‘ডাই-এমোনিয়াম ফসফেট’ (ডিএপি) সার আমদানি করবে সরকার। মরক্কো’র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘ওসিপি এসএ’ ও ‘বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন’ (বিএডিসি)-এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় এ সার আমদানি করা হবে। এবার আমদানি করা হবে তৃতীয় লট। প্রতি মেট্রিক টনের এফওবি দর ৫৪১ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৩৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র আগামী সভায় এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের কৃষি উৎপাদনে ডিএপি সারের চাহিদা পূরণে বিএডিসি’র মাধ্যমে মরক্কো’র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘ওসিপি এসএ’ থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ডিএপি সার আমদানি করা হচ্ছে। সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ২০২৩-২০২৪ সালে মরক্কো থেকে ১৩টি লটের মাধ্যমে মোট ৫ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির কথা রয়েছে। পূর্বের চুক্তির শর্তগুলো বহাল রেখে গত বছর (২০২২ সাল) ২৩ অক্টোবর ওসিপি এসএ ও বিএডিসি’র মধ্যে ইতোপূর্বে সম্পাদিত চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, সারের আন্তর্জাতিক বাজার দর সংক্রান্ত দুটি প্রকাশনা ‘আরগুস ফসফেট’ ও ‘ফার্টিকন’-এ প্রকাশিত এফওবি দর থেকে ১০ ডলার কমিয়ে আমদানিতব্য সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মরক্কো থেকে তৃতীয় লটের ডিএপি সার আমদানির জাহাজিকরণ সময়সীমা চলতি মাসের ২০ থেকে ২৫ মে সময়কালে নির্ধারণ-পূর্বক প্রাইস-অফার চাওয়ার প্রেক্ষিতে চুক্তির মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মোতাবেক প্রতি মেট্রিক টনের দর ৫৪১ দশমিক ৫০ ডলার প্রস্তাব করেছে ‘ওসিপি এসএ’।
সূত্র জানায়, ফসল উৎপাদনে ডিএপি সার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। নিরাপত্তা মজুদসহ দেশে ডিএপি সারের বাৎসরিক চাহিদা প্রায় ১৯ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে মাত্র ১ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার উৎপাদন করে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত ‘বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন’ (বিসিআইসি)। অবশিষ্ট সারের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ১১ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করে থাকে। অবশিষ্ট ৭ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে।