২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:০৫:১২ পূর্বাহ্ন
জেলা প্রশাসকের একগুয়েমীর কারনে নওগাঁয স্ংবাদিকদের বিভাজন সুস্পষ্ট
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৬-২০২৩
জেলা প্রশাসকের একগুয়েমীর কারনে নওগাঁয স্ংবাদিকদের বিভাজন সুস্পষ্ট জেলা প্রশাসকের একগুয়েমীর কারনে নওগাঁয স্ংবাদিকদের বিভাজন সুস্পষ্ট

নওগাঁয় জেলা প্রশাকের একগুয়েমীর কারনে গত ১ জুন তারিখে প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও সেমিনারে প্রকৃত প্রকৃত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এদিন নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।  


এ ব্যাপারে প্রেসকাউন্সিল থেকে প্রেরিত পত্রে ১০ নম্বর নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বলা ছিল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এব্য সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক  এই সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা প্রদানসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করনের অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রসাশক জেলা তথ্য অফিসার ও তাঁর মদদে মে'২০২৩  মাসেই গড়ে ওঠা অনলাইন,  ইউটিউব, ফেসবুক মাধ্যমের সাংবাদিকদের একটি সংগঠনের সহযোগিতায় তাদের পছন্দমত সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মূল ধারার সাংবাদিকদের সংগঠন নওগাঁ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের দু'এক জন সাংবাদিক  সাংগঠনিকভাবে এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও অধিকাংশকেই আমন্ত্রন জানানো হয়নি। 

এদিকে গত ২৫ বৈশাখ ৮ মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান পতিসর কাচারি বাড়িতে সাংবাদিকের কোন আসন ব্যবস্থা না করে তাদের দারুনভাবে অসন্মান করা হয়েছে।  এই ঘটনায় প্রেসক্লাব ও জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন দুঃখ প্রকাশ এবং সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ফিরিয়ে আনার দাবী জানায়। কিন্তু জেলা প্রশাসক এ দাবীকে কোন পাত্তা না দিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের সস্পূর্নভাবে ়একঘরে করার লক্ষে এখানকার দু'টি টেলিভিশনের প্রতিনিধির নেতৃত্বে কতিপয় অপ্রচলিত সংবাদপত্র, অনলাইন, ইউটিউব আর ফেসবুকের সাংবাদিকদের নিয়ে "টেলিভিশন প্রিন্ট ও অনলাইন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন " নামের এক সংগঠন করিয়ে দেশের প্রচলিত খ্যতনামা সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছন। নিজস্ব কার্য হাসিলের জন্য জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন তৈরী করে দিয়েছেন।  যার ফলে নওগাঁয় জেলা প্রশাসন ও প্রকৃত সাংবাদিকদের মধ্যে চরম দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।  এর ফলে সরকারের ব্যপক উন্নয়ন কর্মধারা এবং অভাবনীয় সাফল্যগাঁথা বিষয়গুলো সাধারন মানুষের কাছে তুলে ধরার কাজ ব্যহত হবে।

জেলা প্রশাসক এখানে মুলধারার সাংবাদিকদের নানা ভাবে প্রতিহত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি তাঁর নিজের কোন কর্মসূচিতে প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের তালিকাভুক্ত কোন সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানাচ্ছেন না। যেহেতু তিনি জেলার প্রশাসিক প্রধান এবং সকল কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সেহেতু জেলার সকল অফিসকে এই তিন সংগঠনের সদস্যদের  কোনভাবেই যাতে নিমন্ত্রন না দেয়া হয় সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারী রাখছেন। উল্লেখ্য যে অতি সম্প্রতি জেলায় বন বিভাগের একটি কর্মশালা, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, জাতীয় দুগ্ধ দিবসসহ কয়েকটি জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে নির্দেশনা অনুযায়ী এই তিন সংগঠনের সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানানো হয়নি। শুধু তাই নয়, সংবাদ তৈরীর প্রয়োজনীয়তায় জেলা প্রশাসককে ফোন করলে এই তিন সংগঠনের সাংবাদিকদের কোন ফোন রিসিভ করছেননা। কোন সহযোগিতা করছেননা। ফলে সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ খুবই অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

উল্লেখ্য নওগাঁ জেলায় কোন জেলা প্রশাসকের সময় এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয় নি।

শেয়ার করুন