২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০১:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন
এলাকাভিত্তিক ধানের জাত: ৬ অঞ্চলে হচ্ছে ব্রি’র কার্যালয়
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৬-২০২৩
এলাকাভিত্তিক ধানের জাত: ৬ অঞ্চলে হচ্ছে ব্রি’র কার্যালয়

জলবায়ু সহিঞ্চু ও এলাকাভিত্তিক ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবনে আরও বিস্তৃত গবেষণার জন্য আরও ছয়টি আঞ্চলিক ও সমান সংখ্যক স্যাটেলাইট কার্যালয় স্থাপন করবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।

এজন্য ‘নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণার উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টির যোগান দিতে আরও গবেষণা বাড়ানো।

মঙ্গলবার প্রায় ৩৬৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পসহ প্রায় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকার ১৮টি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ঢাকার শেরে বাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।

প্রকল্পের আওতায় ব্রি নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করবে কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায়। পাশাপাশি খুলনা, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, পঞ্চগড়, সিলেট ও ময়মনসিংহে আরও ছয়টি স্যাটেলাইট কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশের ধান উৎপাদন পরিবেশ অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় স্যালাইন অঞ্চল এবং বন্যা-প্রবণ কেন্দ্রীয় অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে উত্তর-পশ্চিম খরা-প্রবণ উচ্চভূমি থেকে ভিন্ন।

এ বৈচিত্র্যময় এলাকাকে মোট ৩০টি প্রধান কৃষি পরিবেশগত অঞ্চলের মাধ্যমে বিভক্ত করা হয়েছে। দেশের ধান উৎপাদনের স্থিতিশীলতার জন্য স্থানভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেকে অনুমোদন হওয়া ১৮ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা, বিদেশি ঋণ থেকে ৩ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন প্রায় ৮১ কোটি টাকা যোগান দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলন

এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, শিল্প শক্তি বিভাগের সদস্য মো. আব্দুল বাকী, আর্থ সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোছাম্মৎ নাসিমা বেগমসহ উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে

>> ‘ফরিদপুর জেলাধীন মধুমতি নদীর বাম তীরের ভাঙন হতে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর সংযোগ রাস্তাসহ অন্যান্য এলাকা সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ প্রকল্প; ব্যয়; ৪৮১ কোটি টাকা।

>> ‘বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প, ব্যয়; ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

>> ‘নেত্রকোণা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প, ব্যয়; ১ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।

>> ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধন)’ প্রকল্প, ব্যয়; ৯৫৩ কোটি টাকা।

>> ‘নড়াইল জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প, ব্যয়; ২৫০ কোটি টাকা।

>> ‘আশ্রয়ণ-২” (৫ম সংশোধন) প্রকল্প। প্রকল্পটি থেকে ২ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা কমিয়ে ৮ হাজার ৭৯৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ১৪২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

>> ‘১০টি মেডিকেল কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১৯টি হোস্টেল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প; ব্যয় প্রায় ১ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা।

>> ‘পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, পটুয়াখালী” (১ম সংশোধন) প্রকল্প, ব্যয় বাড়ছে; ৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

>> ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং স্থাপন’ প্রকল্প; ব্যয় প্রায় ৯৭ কোটি টাকা।

>> ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ প্রকল্প; ব্যয় ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

>> ‘জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা’ (৩য় সংশোধন) প্রকল্প থেকে ২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা কমানো হয়েছে।

>> ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন’ (২য় সংশোধন) প্রকল্প; ব্যয় বেড়েছে ২৩৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

>> ‘সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি রিংক রোড নির্মাণ’ প্রকল্প; ব্যয় ৩২৩ কোটি টাকা।

>> ‘চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড’ (৪র্থ সংশোধন) প্রকল্প; ব্যয় বাড়ছে ৬৪৮ কোটি টাকা।

>> ‘সাভার সেনানিবাস এলাকায় মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন’ প্রকল্প; ব্যয় ৮৯ কেটি টাকা।

>> ‘ডিজিএফআই এর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ এবং কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন (টিআইএইচডিটিসিবি)’ (২য় সংশোধন) প্রকল্প; ব্যয় বাড়ছে প্রায় ২৫৪ কোটি টাকা এবং

>> ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ’ (২য় সংশোধন) প্রকল্প; ব্যয় বাড়ছে প্রায় ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন