যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার গোপন নথিসংক্রান্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি ব্যবহারের মামলায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করা হয়। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্প গোপন নথি ও ফাইল নিজের কাছে রাখাসহ সাতটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন বলে মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে। তবে অভিযোগের আরও বিশদ বিবরণ এখনো অস্পষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ফলে আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে।
বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অভিযোগ গঠন করা হলো এবং সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম ফেডারেল অভিযোগ। অবশ্য ২০২৪ সালে নির্বাচনে আবারও রিপাবলিকান পার্টির হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন ট্রাম্প।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্দোষ এবং গত মঙ্গলবার মিয়ামির একটি ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাকে তলব করা হয়েছিল।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি কখনই ভাবিনি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অন্ধকার দিন। দেশ হিসেবে আমরা গুরুতরভাবে এবং দ্রুত পতনের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু একসঙ্গে আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন)!’
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি গোপন নথির মামলার সঙ্গে যুক্ত এবং সেখানে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সিএনএন ও এবিসি নিউজসহ অন্যান্য মার্কিন মিডিয়া বলেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য কেবল একটি অভিযাগ থাকলেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত অপরাধের বিচার করা যায়।
মার্কিন বিচার বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
এর আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্নো তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে গত মার্চ মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই ঘটনার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হন।
আগামী বছর নিউইয়র্কে এ মামলায় তার বিচার হবে।